প্রতিপক্ষের হামলায় খাগড়াছড়ি পৌর শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক গুরুতর আহত, চট্টগ্রাম মেডিকেলে প্রেরণ
নিজস্ব প্রতিবেদক, খাগড়াছড়ি:
প্রতিপক্ষের হামলায় খাগড়াছড়ি পৌর শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক বেলাল হোসেন গুরুতর আহত হয়েছে। তবে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়েছে।
সোমবার(৩০ অক্টোবার) সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় শহরের গঞ্জপাড়া এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ হামলার জন্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার অনুসারীরা মেয়র রফিকুল আলম গ্রুপকে দায়ী করে।
আহত বেলাল হোসেন জানান, সোমবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক দিদারুল আলমের নেতৃত্বে ও পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলমের উপস্থিতিতে ৮/১০জন সন্ত্রাসী আমাকে এলোপাথারী কুপায়। আমি এ সময় মেয়রের পায়ে ধরে ক্ষমা চেয়েছি। অনুয়-বিনয় করেছি। কিন্তু আমাকে ছাড়ে নাই।
হামলার কারণ হিসেবে বেলাল হোসেন বলেন, তাদের বড় ভাই জাহেদুল আলমকে গালিগালাজ করেছিলাম। এ কারণে তার দুই ছোট ভাইয়ের নেতৃত্বে আমাকে মেরে ফেলার জন্য কুপিয়েছে। তারা আমি মারা গেছি ভেবে ফেলে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
তবে আওয়ামী লীগ নেতা দিদারুল আলম এমন অভিযোগ প্রত্যাখান করে বলেন, আমি সন্ধ্যায় দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে ৩রা নভেম্বরের কর্মসূচি নিয়ে দলীয় কার্যালয়ে বৈঠকে ছিলাম। তবে শুনেছি বেলালসহ কয়েকজন মদ খেয়ে মাতাল অবস্থায় চাঁদা ভাগাভাগি নিয়ে নিজেদের মধ্যে মারামারিতে লিপ্ত হয়। এতে বেলাল নামে একজন আহত হয়।
খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে চিকিৎসক ডাক্তার আব্দুল মান্নান জানান, বেলাল হোসেনের মাথা, হাত ও পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে একাধিক ধারালো অস্ত্রের আঘাতে চিহৃ রয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তারেক মো. আব্দুল হান্নান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
প্রসঙ্গত, গত পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে খাগড়াছড়ি আওয়ামী লীগের বিভক্তির সৃষ্টি হয়। সে থেকে প্রতিনিয়ত দুই পক্ষের মধ্যে অন্তত অর্ধশতাধিক হামলা,পাল্টা হামলা ও সংঘর্ষে কমপক্ষে শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছে।