হারানো মোবাইল প্রকৃত মালিকের কাছে হস্তান্তর করেছে খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ

fec-image

খাগড়াছড়ি জেলা সার্বিক আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ও জনগণের কাছে পুলিশের সার্বিক সহযোগিতা পৌঁছে দিতে সর্বদাই খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার) পুলিশ সদস্যদের কে নির্দেশনা প্রদান করেন। জনগণ যাতে পুলিশের সেবার সর্বোচ্চ সুফল ভোগ করতে পারে তার জন্য খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার সর্বদাই নিবেদিত প্রাণ কাজ করে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে খাগড়াছড়ি জেলার বর্তমান পুলিশ সুপার নেতৃত্বে পুলিশ অনেকগুলো সফল কাজ করতে সক্ষম হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায়, গত ১৮ জানুয়ারি মো. হানিফুল ইসলাম (৩৮) এর কাছ থেকে হারিয়ে যাওয়া শাওমি স্মার্টফোনটি খাগড়াছড়ি জেলার সাইবার ইন্টেলিজেন্স এন্ড ইনভেস্টিগেশন সেলের মাধ্যমে উদ্ধারপূর্বক মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার মুক্তা ধর এর মাধ্যমে ফোনটির প্রকৃত মালিক মো. হানিফুল ইসলামের নিকট হস্তান্তর করা হয়।

হস্তান্তরকালে পুলিশ সুপার বলেন, বর্তমান ডিজিটাল বাংলাদেশ এ জনগণকে যুগোপযোগী সেবা দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ পুলিশ নিজেদেরকে প্রযুক্তিগতভাবে সক্ষম করে তুলছে। বর্তমানে আমরা বিভিন্ন অপরাধ নিয়ন্ত্রণ এবং অপরাধ তদন্তের ক্ষেত্রে প্রযুক্তি ব্যবহার করে থাকি এবং অনেক সুফলও আমরা পাচ্ছি। প্রযুক্তিগত সহায়তার মাধ্যমে আমরা যেমন হারানো মোবাইল সমূহ শনাক্ত করছি, আবার খাগড়াছড়ি জেলা পার্বত্য অঞ্চল ও দুর্গম হওয়ায় এই মোবাইল গুলো উদ্ধারেও অনেক বেগ পেতে হয় আমাদের জেলা পুলিশ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের। তবুও সকল বাধা ও প্রতিকূলতা পেরিয়ে নিরলসভাবে খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশের সকল ইউনিট কাজ করে যাচ্ছে। যাতে নাগরিকদের কাঙ্ক্ষিত সেবা নিশ্চিত হয় । ইতঃপূর্বে আমরা শতাধিক হারানো মোবাইল উদ্ধারপূর্বক প্রকৃত মালিকের কাছে হস্তান্তর করেছি। এটা আমাদের জন্য একটা সাফল্য এবং জনগণও পুলিশের কাছ থেকে সেবার আস্থা পাচ্ছে।

মোবাইল ফোন ফিরে পেয়ে মো. হানিফুল ইসলাম অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, এ ফোনটি আমার কেনা সর্বোচ্চ দামি ফোন ছিল এবং অনেক কষ্ট করে আমি ফোনটি কিনেছিলাম। ফোনটি আমার খুব শখের ছিল। কিন্তু ফোনটি কেনার কিছুদিনের মধ্যে আমি হারিয়ে ফেলি। ফোনটি হারিয়ে যাওয়ার পর আমি খুব বিমর্ষ হয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু যখন একজন পুলিশ ভাই ফোন করে বলল যে, “আপনার হারিয়ে যাওয়া ফোনটি ফিরে পাওয়া গেছে”, তখন সত্যিই আমি খুশিতে আত্মহারা হয়ে গিয়েছিলাম। হারানো জিনিস ফিরে পাওয়া আনন্দের, যদি আবার তা খুব শখের জিনিস হয়। আমি ভাবিনি আমার এই ফোনটি আবার ফিরে পাবো। জেলা পুলিশ ও পুলিশ সুপার স্যারকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।আর যারা আন্তরিকভাবে কাজ করে আমার হারিয়ে যাওয়া ফোনটি আমাকে ফিরিয়ে দিয়েছেন। স্যার আন্তরিকভাবে আমাদের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। আমি স্যারের পরিবারের শান্তি কামনা করি।

মোবাইল হস্তান্তরকালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) মো. জসীম উদ্দিন,সহকারী পুলিশ সুপার মুমিদ রায়হান ও অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন