মন্ত্রিসভায় স্থলসীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নে প্রটোকল অনুমোদন
নিউজ ডেস্ক:
সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০১১ সালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের মধ্যে স্বাক্ষরিত প্রটোকল অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রটোকলের অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রী পরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইয়া সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, ভারত বাংলাদেশের মধ্যে সীমান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল ১৯৭৪ সালে, যা ইন্দিরা-মুজিব চুক্তি নামে পরিচিত। চুক্তি স্বাক্ষরের পরপরই বাংলাদেশের পার্লামেন্ট তা অনুমোদন করে। কিন্তু ভারতীয় পার্লামেন্ট তখন তা অনুমোদন করেনি। সম্প্রতি ভারতের পার্লামেন্ট ওই সীমানা চুক্তি অনুমোদন করেছে।
মন্ত্রীপরিষদ সচিব বলেন, সীমানা চুক্তি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০১১ সালে শেখ হাসিনা ও মনমোহন সিংয়ের মধ্যে প্রটোকল স্বাক্ষরিত হয়। কিন্তু তখন মূল চুক্তি ভারতের পার্লামেন্টে অনুমোদন না হওয়ায় বাংলাদেশের মন্ত্রিপরিষদ তখন ওই প্রটোকল অনুসমর্থনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেনি। এখন যেহেতু ভারতের পার্লামেন্ট সীমানা চুক্তি অনুমোদন করেছে সেহেতু বাংলাদেশের মন্ত্রিপরিষদ তা অনুসমর্থন করল।
কেবিনেট সচিব বলেন, ‘সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের ফলে বাংলাদেশের যেসব ছিটমহল ভারতে রয়েছে সেই ছিটমহলের লোকজন ইচ্ছা করলে ভারতেও থাকতে পারেন, আবার ইচ্ছা করলে বাংলাদেশেও আসতে পারেন। তদ্রুপ ভারতের যেসব ছিটমহল বাংলাদেশে রয়েছে যেসব ছিটমহলের বাসিন্দা ইচ্ছা করলে ভারতেও যেতে পারেন, আবার বাংলাদেশেও থাকেতে পারেন।
তিনি বলেন, সীমান্ত চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সব অপদখলীয় সম্পতি বিনিময় হবে। তিনবিঘা করিডোর ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে। বাংলাদেশ পাবে ১১১টি ছিটমহল। যার আয়তন ১৭ হাজার ১৬০ একর। ভারত পাবে ৫১টি ছিটমহল, যার আয়তন ৭ হাজার ১১০ একর।’