গারো তরুণী গণধর্ষণের ঘটনায় পুলিশের অবহেলাসহ তিন বিষয়ে রুল

High_Court_sm_759958875

নিউজ ডেস্ক:
রাজধানী ঢাকায় মাইক্রোবাসে তুলে এক গারো তরুণীকে পালাক্রমে গণধর্ষণের ঘটনায় মামলা নিতে বিলম্ব কেন ‘অসাংবিধানিক’ ঘোষণা করা হবে না, অবহেলার জন্য দায়ী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না এবং ধর্ষিতকে কেন ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।

সোমবার চার মানবাধিকার সংগঠনের করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের বেঞ্চ এই তিনটি রুল জারি করে।

এছাড়া থানায় ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, লিঙ্গ ও জন্ম পরিচয় নির্বিশেষে বৈষ্যমহীনভাবে সবার সেবা নিশ্চিত করার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র সচিব, আইজিপি ও পুলিশ কমিশনারকে একটি সার্কুলার জারির নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

যৌন হয়রানি ও যৌন সহিংসতা রোধে বিদ্যমান আইন ও প্রক্রিয়া পুনর্বিবেচনা করার জন্য অবসরপ্রাপ্ত বিচারক, আইনজীবী ও নারী অধিকারকর্মীদের নিয়ে একটি কমিটি করতে রিটকারীদের কাছে নামের তালিকা চেয়েছে হাইকোর্ট।

আগামী ৩১ মের মধ্যে এই তালিকা আদালতে দিতে বলা হয়েছে রিটকারী চার সংগঠনকে।

নারীপক্ষ, মহিলা পরিষদ, জাতীয় আদিবাসী পরিষদ, আইন ও শালিস কেন্দ্র এবং ব্লাস্ট রবিবার এই রিট আবেদন করলে সোমবার তার ওপর শুনানি হয়।

রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সারাহ হোসেন। তার সঙ্গে ছিলেন- জেড আই খান পান্না ও মেহবুবা জুঁই।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন- ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমাতুল করিম ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নুসরাত জাহান।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় অস্ত্রের মুখে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে পালাক্রমে পাঁচ যুবক ওই গারো তরুণীকে ধর্ষণ করে। তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন।এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির রবিবারের বৈঠক শেষে এর সভাপতি টিপু মুন্সি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

এর আগে শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর ভাটারা থানায় পরিবারসহ এসে ওই গারো তরুণী অজ্ঞাত পাঁচ যুবকের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলা নম্বর ২৬। তার গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়ায়। দুই-তিন বছর আগে তিনি ঢাকায় আসেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে নয়টার দিকে কাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড এলাকা থেকে দুই যুবক অস্ত্রের মুখে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। পরে মাইক্রোবাসের মধ্যেই পাঁচ যুবক তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে উত্তরার জসীম উদ্দিন রোডে ফেলে যায়। তবে ধর্ষকদের কারো নাম-পরিচয় জানাতে পারেননি অভিযোগকারী তরুণী।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন