শান্তি চুক্তি অনুযায়ী গঠিত প্রবিধানমালা অনুসারে শিক্ষক নিয়োগ কমিটি গঠিত হবে
পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি অনুযায়ী প্রণীত প্রবিধানমালা অনুযায়ী পার্বত্য জেলাগুলোতে হস্তান্তরিত বিভাগের কর্মচারী নিয়োগ বাছাই কমিটি গঠিত হবে এবং সে অনুযায়ী নিয়োগ হবে বলে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক সভায় এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের অধীনে হস্তান্তরিত প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের বাছাই ও নিয়োগ কমিটি গঠন এবং সংশোধন সংক্রান্ত সভা পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
মন্ত্রণালয়ের সচিব মোসাম্মৎ হামিদা বেগম এর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি। এতে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসু প্রু চৌধুরী প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত সচিব রতন পন্ডিতসহ তিন পার্বত্য জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধিসহ মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে তৎকালীন স্থানীয় সরকার পরিষদের ১৯৮৯ সালের ১৯ নম্বর আইন এর ধারা ২৩ এর খ অনুযায়ী প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ কমিটিতে ৮ জন সদস্য থাকতেন। তারা হলেন- পদাধিকার বলে সভাপতি চেয়ারম্যান, সদস্য, জেলা সদস্য, সিভিল, প্রধান শিক্ষক, সহকারী, বালক বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে ও সদস্য সচিব থাকতেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার।
পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পর ২০০০ সনে পার্বত্য জেলা পরিষদ গুলো হস্তান্তরিত বিভাগের কর্মচারী নিয়োগ প্রবিধানমালা নতুন করে তৈরি করে । এতে নিয়োগ বাছাই কমিটিতে ৭ জন সদস্য রাখা হয়। এরা হলেন, নিয়োগ কমিটির সভাপতি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, সদস্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের আহ্বায়ক, পরিষদের সদস্য একজন বাঙালি এবং দুইজন উপজাতীয় সদস্য পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ও হস্তান্তরিত বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সদস্য সচিব থাকবেন।
২০১৪-২০১৫ সনের দিকে শিক্ষক নিয়োগসহ নানা নিয়োগে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ ওঠার পর পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ থেকে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়া হয়। এরপর মন্ত্রণালয়ের আদেশে নতুন করে দুই জন সদস্য নিয়োগ কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এরা হলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের প্রতিনিধি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি।
অন্যদিকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে নিয়োগ কমিটিকে জেলা প্রশাসন থেকে একজন প্রতিনিধি রাখার জন্য চিঠি দেয়া হয়।
বৃহস্পতিবার পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় বিস্তারিত আলাপ আলোচনা শেষে জেলা পরিষদের নিয়োগ প্রবিধানমালা ২০০০ বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এদিকে সভায় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশেসিং এমপি কোন নিয়োগে যেন দুর্নীতি না হয় সেদিকে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানদের দৃষ্টি রাখার নির্দেশ দেন। বিশেষ করে প্রাথমিক শিশু বিকাশের প্রথম স্তর উল্লেখ করে যোগ্য লোকদের নিয়োগ দেয়ার আহ্বান জানান।
এছাড়া নিয়োগ কমিটিসহ সব ধরনের প্রয়োজনে আঞ্চলিক পরিষদের সাথে সমন্বয় সাধন করার নির্দেশ দেন।