সন্ত্রাসীদের ধরতে গিয়ে সাধারণ মানুষকে যেন হয়রানি করা না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে: বাসন্তী চাকমা এমপি
পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে মনোনীত সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য বাসন্তি চাকমা এমপি নিরাপত্তা বাহিনীর উদ্দেশ্য অনুরোধ করে বলেন, সন্ত্রাসী ধরতে গিয়ে যাতে কোনো সাধারণ মানুষ হয়রাণীর স্বীকার না হয় সে ব্যাপারে খেয়াল রাখবেন। গত ২৬ মে রাঙামাটিতে এপিবিএন আঞ্চলিক কার্যালয় উদ্বোধনকালে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা জানি আজকে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আমরা এখানে একত্রিত হয়েছি। আমি এখানে যেহেতু আমার শ্রদ্ধাভাজন সিনিয়র ভাইয়েরা আছেন, আমরা উনাদের কাছে থেকে আমরা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য শুনবো। উনারা দিক নির্দেশলামূলক বক্তব্য রেখে যাবেন আমাদের এই এলাকাবাসীর জন্য। আমি এইটুকুই বলবো, আমরা সবাই শান্তিপ্রিয় মানুষ। আমি বলবো, পাহাড়ের মানুষ আমরা আরো বেশি শান্তি প্রিয়।
এই শান্তির জন্য আমরা সবাই জানি, ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর যে শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন করা হয়, যদি বলি সেই শান্তিচুক্তির আমরা সুবাতাস পাচ্ছি। আমি তিন পার্বত্যবাসীর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী প্রিয় আপার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। আমরা সবাই এখানে তিন পার্বত্যবাসী মিলে আমরা আমাদের একটা উদ্দেশ্য আমাদের এলাকা কীভাবে শান্ত রাখবো। আমাদের তিন পার্বত্যবাসীসহ এখানে যারা প্রশাসনিক কর্মকর্তা, এখানে সেনাবাহিনী, পুলিশ, আনসার, ভিডিপি এখন যেহেতু নতুন ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের মাধ্যমে আমরা জানি তিন জেলায় আমরা এপিবিএন ব্যাটালিয়ন পাবো।
আমাদের অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে উনারা আমাদের জন্য, আমাদের দেশের জন্য উনারা কাজ করে যাবেন। নতুন যারা দায়িত্বে থাকবেন আমি আগাম অভিনন্দন জানাই। আমি সবাইকে সবার কাছ থেকে আপনাদের প্রতি আমি সালাম জানাই। তবে আমি জানি আমাদের এলাকার জন্য আপনারা শান্তি আনার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।
বাসন্তি চাকমা বলেন, আমার একটা অনুরোধ থাকবে, আপনারা সন্ত্রাসীদের অবশ্যই খুঁজে বের করবেন। কিন্তু সন্ত্রাসীকে খুঁজতে গিয়ে সাধারণ গ্রামবাসী যাতে হয়রানি না হয় সেই অনুরোধটুকু আমি আপনাদের প্রতি রাখছি।
আমরা জানি, পাহাড়ি এলাকা অনেক গরিব এলাকা। সেনাবাহিনী থেকে শুরু করে বিজিবি, আপনারা যে কাজগুলো করে যাচ্ছেন, আমাদের মনে আছে ভাল্লুকে কামড় দেওয়া এক রোগীকে আপনার হেলিকপ্টারে করে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন। ডেলিভারি থেকে আরম্ভ করে চক্ষু শিবির, শীতকালে কম্বল বিতরণে যেখানে আমাদের জনপ্রতিনিধিদের যাওয়ার সুযোগ হয়নি বা আমরা সেভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারিনি। আপনারা কিন্তু সেই জায়গাটুকুও কাভার দিচ্ছেন। কোন দিচ্ছেন একমাত্র আমাদের পার্বত্যবাসীকে ভাল রাখার জন্য । আমরা সবাই যেন ভাল থাকি।