কক্সবাজারে জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা ও উচ্ছ্বাস
নিজস্ব প্রতিনিধি:
কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন ও কাউন্সিল হতে যাচ্ছে আগামী ৩১ জানুয়ারি। দীর্ঘ এক যুগ পরে এই সম্মেলন ও কাউন্সিলকে ঘিরে বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে আইন শৃংখলা বাহিনী। যে কোন অপ্রিতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ ও র্যাবের পাশাপাশি বিজিবিও প্রস্তুত থাকবে বলে জানা যায় সংশ্লিষ্ট সূত্রে।
সম্মেলন ও কাউন্সিলকে ঘিরে পুরো জেলার নেতা-কর্মীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস বিরাজ করছে। ব্যানার, ফেসটুন, তোরণ ও দেয়ালিকায় ভরে গেছে পুরো শহর। এদিকে জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব পাওয়ার আশায় কাউন্সিলারদের সাথে দেখা করার জন্য নেতৃত্ব প্রত্যাসীরা পুরো জেলা চষে বেড়াচ্ছেন। আর সিনিয়র নেতাদের পাশে পেয়ে তৃণমূল নেতা-কর্মীরাও উচ্ছ্বাসিত।
৩১ তারিখের সম্মেলন ও কাউন্সিলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফ, প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক বীর বাহাদুরসহ ডজন খানেক কেন্দ্রিয় নেতা উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে।
আওয়ামী লীগের সূত্রে জানা যায়, ওই সম্মেলন ও কাউন্সিলকে কেন্দ্রে করে একটি মহল অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটাতে পারে। যার নীল নকশা ইতিমধ্যেই চলছে। দীর্ঘদিন নিষ্ক্রীয় থাকা জনবিচ্ছিন্ন কয়েকজন আওয়ামীন লীগ নামধারীরাই এ ষড়যন্ত্র করছেন। আওয়ামী লীগের সুনাম ক্ষুন্ন করা ও জেলা আওয়ামী লীগকে কেন্দ্রের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য এই ষড়যন্ত্র শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা।
জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক এডভোকেট একে আহম্মদ হোসেন বলেন, সম্মেলন ও কাউন্সিলের দিন দলের বা সহযোগী দলের অথবা অঙ্গ সংগঠনের কোন নেতা যদি বিশৃংখলতা সৃষ্টি করার চেষ্টা করেন তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
গত ২৬ জানুয়ারি চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনার প্রেক্ষাপটে কেন্দ্র থেকে কক্সবাজারে প্রশাসনেকে ব্যবস্থা গ্রহনের দির্নেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া সরকারি সব গোয়েন্দা সংস্তার পক্ষে থেকেও সম্মেলনের দিন বিষেশ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।
কক্সবাজারের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার ছত্রধর ত্রিপুরা জানিয়েছেন, পুরো কক্সবাজার জুড়ে ৩ স্থরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সম্মেলনে যাতে কোন ধরনের অপ্রিতিকর ঘটনা না ঘটে সে জন্য পর্যান্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত’ ৩১ তারিখ সম্মেলন ও কাউন্সিলকে ঘিরে জেলার নেতা-কর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে, তাদের মধ্যে অনেকে বলছেন ৩১ তারিখ সম্মেলন ও কাউন্সিল হবে। আবার অনেকে বলছেন সম্মেলন হবে কিন্তু কাউন্সিল হবেনা।