আবারও ফাইনাল খেলবে আর্জেন্টিনা!
পার্বত্যনিউজ ডেস্ক:
নানা শঙ্কার বেড়াজাল ছিন্ন করে অবশেষে হাফ ছেড়ে বাঁচল আর্জেন্টিনা। মেসি ও রোহোর গোলে নাইজেরিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠে গেছে দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। শুধু এ কারণেই নয়, তাদের হাফ ছেড়ে বাঁচার আরও একটি কারণ আছে।
এই ম্যাচেই যে গোল পেয়েছেন দলের সবচেয়ে বড় তারকা লিওনেল মেসি। দেখা গেছে পুরনো ছন্দে। এটি অবশ্যই কোটি আর্জেন্টাইন ভক্তের জন্য সুখের বার্তা। এমন রূপে ছোট জাদুকরকে দেখা গেলে ভালো কিছুর আশা করতেই পারেন তারা।
শেষ ষোলোতে যেতে এ ম্যাচে জয় ভিন্ন কোনো বিকল্প পথ খোলা ছিল না আর্জেন্টিনার। যেখানে ড্র হলেই পরের পর্বে উঠে যেতো নাইজেরিয়া। এমন সমীকরণ নিয়ে সেন্ট পিটাসবার্গে আক্রমণাত্মক খেলাই শুরু করে দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া দলটি। শুরুতেই সুপার ঈগলদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন জয় পেতে মরিয়া লিওনেল মেসিরা। মুহুর্মুহু আক্রমণে প্রতিপক্ষকে ব্যতিব্যস্ত রাখেন তারা।
এর ফলও আসে হাতেনাতে। ১৪ মিনিটেই এভার বানেগার লম্বা থ্রু বা থাই দিয়ে রিসিভ করে ডান পায়ের শটে গোলকিপারকে বোকা বানিয়ে বল জালে জড়িয়ে দলকে লিড এনে দেন মেসি। এ নিয়ে দীর্ঘ ৬৬২ মিনিট পর বিশ্বকাপে গোলের দেখা পেলেন তিনি। এবারের বিশ্বকাপে এটিই তার প্রথম গোল। সব মিলিয়ে ফুটবলের সর্বোচ্চ আসরে ফুটবলের বরপুত্রের গোলসংখ্যা দাঁড়াল ৬। এ গোলের সুবাদে তৃতীয় আর্জেন্টাইন ফুটবলার হিসেবে তিনটি বিশ্বকাপে গোল করার রেকর্ড গড়লেন বার্সা তারকা।
গেল বিশ্বকাপেও গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে নাইজেরিয়াকে হারিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডের টিকিট কেটেছিল আর্জেন্টিনা। সেই ম্যাচেও গোল করেছিলেন মেসি। এরপর বহুদূর গিয়েছিল দলটি। শেষ পর্যন্ত ফাইনালি লড়াইয়ে অতিরিক্ত সময়ে মারিও গোটজের গোলে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল ডিয়েগো ম্যারাডোনার দেশের। এবারো গোল করলেন ওয়ান্ডারম্যান।
তাহলে কী ফের ফাইনাল খেলবে আর্জেন্টিনা? এর উত্তর এখনই দেয়া যাচ্ছে না। কারণ এর উত্তর সময়ই বলে দিবে।