কক্সবাজার শহরে জেলা যুবলীগ সম্পাদকের নেতৃত্বে প্রবাসীর জমি দখলের অভিযোগ
কক্সবাজার প্রতিনিধি:
কক্সবাজার শহরে প্রবাসীর ৪ কোটি টাকা মূল্যের জমি জবরদখল করে নিয়েছে যুবলীগনেতা ও ভূমিদস্যু কুতুব।১৫ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ উত্থাপন করেন সৌদি প্রবাসী হাজী আনোয়ার হোছাইন।
কক্সবাজার প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আনোয়ার জানান, কক্সবাজার শহরের কলাতলীর মোড়ে সমুদ্র সৈকত নিকটবর্তী ৪ কোটি টাকা মূল্যের প্রায় ৪ গন্ডা নিষ্কন্টক জমি গত ৬ ফেব্রুয়ারি রাতের অন্ধকারে জবরদখল করে নিয়েছে কক্সবাজার জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল হক সোহেল ও চিহ্নিত ভূমিদস্যু কুতুব উদ্দিন। এদের নেতৃত্বে ৫০/৬০ জনের সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল নাটকীয় তাণ্ডব চালিয়ে ওই জমি জবরদখল করে ওখানকার স্থাপনা গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জমির মালিক জানান, তিনি বিগত প্রায় চল্লিশ বছর যাবৎ সৌদি আরবে প্রবাস জীবন কাটিয়ে কষ্টার্জিত টাকায় কলাতলীর মোড়ে বিএস ৩০৬৮ খতিয়ানের বিএস ২০০৪৬ দাগের সৃজিত বিএস ১০০৮৭ খতিয়ানের ২০০৪৬ দাগের .০৭ একর জমি ও পাশের আরো কিছু জমি ক্রয় করেন। সেখানে ইতোপূর্বে সী নুর কমিউনিটি সেন্টার ও সী নুর কটেজ নামে দুটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ছিল। সম্প্রতি ওই জমিতে বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য নকশা অনুমোদনসহ অন্যান্য কার্যাদি সম্পন্ন করেন। জমিতে বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করতে চাইলে পার্শ্ববর্তী মকসুদ মিয়ার পুত্র মুবিন, ফরিদ, ছমিউল, আসলাম, হাবিব ও আব্দুল কাদেরের পুত্র আলী আকবর ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে বসে। চাঁদার দাবি পূরণ না করায় ওখানকার যাবতীয় স্থাপনা ও সীমানা প্রাচীর ভেঙে গুড়িয়ে দেয় তারা। “ক্রয়সূত্রে এই জমির মালিক শহিদুল হক সোহেল ও কুতুব উদ্দিন নামের সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে দেয়”।
আনোয়ার জানান, বিষয়টি নিয়ে তিনি শহিদুল হক সোহেলের সাথে একাধিক বার কথা বলেন এবং সোহেল বিষয়টি নিয়ে তার সাথে আলোচনায় বসবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু পরবর্তীতে সোহেল কালক্ষেপন করলে গত ১০ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেখানেও কোন প্রতিকার পাননি বলে জানান ভুক্তভোগী আনোয়ার।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে ভুক্তভোগী আনোয়ার তার জমি জবরদখলের বিষয়ে ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী, ভূমি মন্ত্রী, কক্সবাজারের সাংসদ, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, আইজিপি, ডিআইজি, র্যাব মহাপরিচালক, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে আনোয়ার হোছাইনের পুত্র ইসমাঈল, আবরার, এরশাদ, শোয়াইব ও জিয়া উপস্থিত ছিলেন।