খাগড়াছড়িতে জমে উঠেছে ইদ বাজার
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:
পবিত্র ইদুল ফিতর সামনে রেখে খাগড়াছড়িতে জমে উঠেছে ইদ বাজার। নারী পুরুষসহ বিভিন্ন বয়সের ক্রেতাদের ভিড়ে মুখরিত বিপণী বিতানগুলো। ক্রেতাদের উৎসাহ উদ্দীপনায় শুরু হয়েছে উৎসবের আমেজ।
এদিকে ক্রেতাদের চাহিদার প্রতি লক্ষ্য রেখে দেশি বিদেশি বিভিন্ন রকমের পোশাকে দোকান সাজিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। বেচাকেনা তুলনা মূলক ভালো তাই বিক্রেতাদের মুখে রয়েছে হাসির ঝিলিক।
খাগড়াছড়ি মিনি সুপার মার্কেটের “এটুজেড” এর মালিক মো. আবু সালেহ জানান, প্রতিবারের ন্যায় ইন্ডিয়ান পোশাকের চাহিদা একটু বেশি। মেয়েদের ডালি জামা, গ্রাউন্ড জামা, লেহেংগার চাহিদা রয়েছে। এছাড়াও ছোটদের জন্য বাহারি ডিজাইনের ফ্রগ, স্কাট, লেহেংগা, টি শার্ট কালেকশানও রয়েছে।
মনে পরে’র মালিক মো. জাহাঙ্গীর বলেন গত বছরের তুলনায় এবার বেচাকেনা একটু কম। তবে নিত্যনতুন ডিজাইনের পোশাকের কালেকশান রয়েছে যথেষ্ট।
তুলনামূলক ভাবে বেচাকেনা এখনো শুরু হয়নি বলে জানিয়েছেন মিনি সুপার মার্কেটের ফ্যামিলি ফ্যাশনের মালিক মো. আরিফ। আগামী বিশ রমজান থেকে জমজমাট হবে বলে আশা করেন তিনি।
ক্রেতারাও এবার আগে ভাগেই কেনাকাটায় নেমেছেন। বিশেষ করে ছোটদের জন্য আগে ভাগেই কেনাকাটা সারতে চাইছেন।
বেশ কয়েকজন ক্রেতা জানিয়েছেন, গত বছরের তুলনায় এবার দাম সহনীয় রয়েছে। পরিবার নিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে কেনাকাটা করছেন।
ভাইবোনছড়া থেকে ইদের কেনাকাটা করতে আসা মো. নজরুল ইসলাম বলেন, শেষ মুহূর্তে পছন্দের কাপড় ফুরিয়ে যায়, দামও থাকে চড়া। তাই আগে থেকেই পরিবারের জন্য কেনাকাটা করেছেন তিনি।
এদিকে নতুন কাপর তৈরি করতে দর্জির দোকানগুলোতে রয়েছে কিছুটা ভিড়। শহরের লেডিস টেইলার্স হিসেবে খ্যাত সাগর ড্রেস সেন্টারে সোমবার সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় কারিগররা ব্যস্ত রয়েছেন।
সাগর ড্রেস সেন্টারের মাস্টার মো. রমজান জানান, প্রচুর কাজের অর্ডার রয়েছে। ইদের আগে অর্ডার নেওয়া বন্ধ করে দেওয়ার চিন্তা করছি।
ঢাকা ড্রেস সেন্টারের মাস্টার মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, গত বছরের তুলনায় এবার কাজ একটু কম। লেডিস কাজের কিছু অর্ডার থাকলেও জেন্টস কাজ তেমন নেই। ইদের আগে যেখানে এক সপ্তাহ সময় নিয়ে অর্ডার নেয়া হতো, এখন দুই দিন সময়ের মধ্যে ডেলিভারি দেয়া যাবে।