চকরিয়ায় ইউএনও’র হস্তক্ষেপে বাল্যবিবাহ বন্ধ

চকরিয়া প্রতিনিধি:

কক্সবাজারের চকরিয়ায় উপজেলায় নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমানের হস্তক্ষেপে ৮ম শ্রেণিতে পড়ুয়া জেএসসি পরীক্ষার্থী এক কিশোরীর বাল্যবিবাহ বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

এর আগে পরিবারের লোকজন বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক করেন। সেই আলোকে সকল প্রস্তুতিও সম্পন্ন করে ফেলে বর ও কনে পক্ষ। সোমবার রাতে মেহেদী অনুষ্ঠানও সম্পন্ন করা হয়েছে কনের বাড়িতে। মঙ্গলবার(২১ নভেম্বর) বেলা ২টার দিকে উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডে প্রশাসন স্কুল পড়ুয়া ছাত্রীর এ বাল্যবিবাহ বন্ধ করেন।

উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী  ইউনিয়নের রসিদ আহমদ চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া জেএসসি পরীক্ষার ছাত্রী অপ্রাপ্ত বয়স্ক সাবরিন বেগম(১৫)এর সঙ্গে মঙ্গলবার বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক করা হয় একই উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের রিংভং সোয়াজনিয়া এলাকার বেলাল উদ্দিন নামের এক যুবকের সঙ্গে।

বিষয়টি জানার পর এই বিয়ে বন্ধের উদ্যোগ নেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমান। বাল্যবিবাহের খবর পেয়ে মঙ্গলবার বেলা ২টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সাংবাদিক, চকরিয়া থানার উপ-পরিদর্শক মো. আলমগীরসহ সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স নিয়ে কনের বাড়িতে যান এবং এ বাল্যবিবাহ বন্ধ করে দেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সহকারী ও ভ্রাম্যমান আদালতের পেশকার রতন কান্তি এ পার্বত্যনিউজকে জানান, মঙ্গলবার বাল্যবিবাহ অনুষ্ঠান চলার খবর পাওয়া মাত্রই ফাঁসিয়াখালী ৭নম্বর ওয়ার্ডের অপ্রাপ্ত বয়স্ক স্কুলছাত্রী সাবরিনার বিয়ে বন্ধ করার নির্দেশনা দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমান।

এসময় বিয়ের অনুষ্ঠানে বাল্যবিয়ের নানা কুফল সম্পর্কে অবহিত করা হয় মেয়ের বাবাসহ পরিবার সদস্যদের। এতে বাবাসহ পরিবার সদস্যরাই উদ্যোগ নেন বিয়ে বন্ধের।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন