পানছড়ি থানা অফিসার ইনচার্জ প্রাথমিকভাবে অনুসন্ধান ও জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা পেয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা রুজু করেন। পানছড়ি থানার মামলা নং ০৫, তারিখ ১৭/১০/২০১৪ ইং। মামলা দায়েরের পর ভিকটিমের মেডিকেল পরীক্ষার জন্য খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে আনা হয়।এরপর পাহাড়ী বিভিন্ন সংগঠন এ ঘটনাকে ইস্যু করে আন্দোলন গড়ে তোলে।
সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. বিউটি চাকমা ভিকটিমের মেডিকেল পরীক্ষা করেন। ডা. বিউটি চাকমা, আরএমও ডা. সজীব ত্রিপুরা ও সিভিল সার্জনের সাক্ষরিত মেডিকেল রিপোর্টে বলা হয়েছে `no sign of recent forceful sexual intercourse.’ অর্থাৎ জোরপূর্বক যৌন সম্পর্ক বা ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। তবে ডাক্তারী রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে, ‘sign of injury noted over the external genitalia’. অর্থাৎ ভিকটিমের যৌনাঙ্গের বহির্ভাগে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
উল্লেখ্য অভিযুক্ত লালন মিয়ার বড় ভাই মো: আবুল ঘটনার পর পার্বত্যনিউজকে জানিয়েছিলেন, তার ছোট ভাই প্রায়ই কানুনগো পাড়া এলাকায় গরু চরাতে যায়। মনপুরি আমার ভাই লালনকে বাবা বলে সম্বোধন করত। ঘটনার দিনও লালনকে বাবা বলে দৌড়ে এসে কোলে উঠতে গেলে তার হাতে থাকা গরু তাড়ানোর লাঠি দুর্ঘটনা বসত মেয়েটির গোপনাঙ্গে লেগে যায়। এই ছোট ঘটনাটিকে বড় করে অন্য খাতে নেয়ার জন্য একটি মহলের আঁতাত রয়েছে বলে তিনি জানান।
অপরদিকে মেয়েটির বাবা সোনামনি চাকমা পার্বত্যনিউজকে জানিয়েছিলেন, আসামী লালন মনপুরিকে ধর্ষণ করতে চেষ্টা করেছিল। কিন্তু না পেরে তার গোপনাঙ্গে আঙ্গুল দিয়ে গুতো মেরে তাকে আহত করে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস.আই শ্রী রাম চন্দ্র ভট্টাচার্য্য অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত আসামী লালন মিয়াকে ইসলামপুর এলাকা থেকে আটক করে।
তবে স্থানীয় বাঙালী নেতৃবৃন্দ নাম প্রকাশ না করার শর্তে পার্বত্যনিউজকে জানায়, পানছড়িতে পুলিশ সদস্য লক্ষ্ণীকুমার চাকমার সাব মেশিনগান খোঁয়া যাওয়া এবং এরপর এলাকায় পুলিশের কম্বিং অপারেশনের পর জনতার দৃষ্টি অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিতে একটি ক্ষুদ্র ঘটনাকে ইস্যু করে পাহাড়ী সংগঠনগুলো নোংরা রাজনৈতিক খেলায় মেতেছে।