পেকুয়া প্যান ইসলামিক হাসপাতাল থেকে পালিয়েছে সেই ভুয়া এমবিবিএস ডাক্তার ফরিদ

voa doctor farid
নিজস্ব প্রতিনিধি :
পেকুয়া আলহাজ্ব কবির আহমদ চৌধূরীর বাজারের পান বাজারের রোডে অবস্থিত প্যান ইসলামিক হাসপাতাল থেকে রাতের আঁধারে পালিয়েছে সেই ভূঁয়া এমবিবিএস ডাক্তার ফরিদুল আলম। ভূঁয়া ডাক্তার পালিয়ে যাওয়ার খবর এলাকায় চাউর হলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ এপ্রিল ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ছুটি নিয়ে কৌশলে রাতের আধারে পালিয়েছে ভূঁয়া এমবিবিএস ডাক্তার মো. ফরিদুল আলম। তিনি কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

পেকুয়া প্যান ইসলামিক হাসপাতালের একাধিক সূত্র জানিয়েছেন, বিগত এক বছর পূর্বে মেডিকেল অফিসার পদে ডা. ফরিদুল আলম যোগদান করেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে মাসিক ৫০ হাজার টাকা বেতন প্রদান করতেন।

জানা গেছে, ফরিদুল আলম এমবিবিএস ও বিএমডিসির ভূঁয়া সনদপত্র তৈরী করে প্যান ইসলামিক হাসপাতালে জমা দিয়েই রোগী দেখা শুরু করেন। প্রতি রোগীর কাছ থেকে তিনি তিনশত টাকা করে ভিজিটও নিতেন। ওই ভূঁয়া চিকিৎসক তার ভিজিটিং কার্ডে এমবিবিএস (রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়), পি.জি.টি (মেডিসিন এন্ড সার্জারি), মেডিসিন, সার্জারি, ডায়াবেটিস, মা ও শিশু, চর্ম যৌন রোগে অভিজ্ঞসহ ইত্যাদি রকমারি ভূঁয়া ডিগ্রি ব্যবহার করে পেকুয়া উপজেলার সাত ইউনিয়নের অসংখ্য রোগীদের সাথে চিকিৎসক পরিচয়ে প্রতারণা করেছেন।

স্থানীয়রা এ বিষয়ে পেকুয়ায় কর্মরত সাংবাদিকদের বিষয়টি অবহিত করেন। পরে পেকুয়ায় কর্মরত কয়েকজন সংবাদকর্মী সরেজমিনে পেকুয়া প্যান ইসলামিক হাসপাতালে গেলে ডা: ফরিদুল আলম কথা বলেন। এক পর্যায়ে সাংবাদিকরা ডা: ফরিদুল আলমের এমবিবিএস ও বিএমডিসির সনদপত্র দেখতে চাইলে আমতা আমতা করেন ওই কথিত ডাক্তার ফরিদুল আলম। এসময় ফরিদুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, ভাই আমি খুব গরিব মানুষ; আপনারা দয়া করলে আমি এখানে থাকতে পারব। একাধিবার তার সনদপত্র দেখতে চাইলেও তিনি কোন ধরনের সনদপত্র দেখাতে পারেননি। অবশেষে চলতি মাসের ৭ এপ্রিল ওই কথিত এমবিবিএস ডাক্তার ফরিদুল আলম পালিয়ে যান।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, পেকুয়া প্যান ইসলামিক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ফরিদুল আলমের চিকিৎসা সনদ যাচাই-বাচাই না করে মেডিকেল অফিসার হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন।

পেকুয়া প্যান ইসলামিক হাসপাতালের ম্যানেজার মৌলানা মো. ইউনুচের কাছে এ ব্যাপারে জানতে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ডা: ফরিদুল আলমের সব কাগজপত্র যাচাই-বাচাই করে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। চলতি মাসের ৭ এপ্রিল তিনি ছুটি নিয়ে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত যোগদান করেনি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন