‘মানুষ মানুষের জন্য’ এ উপলব্ধি থেকে কাজ করতে হবে- ব্রিগে. জেনারেল কামরুজ্জামান
মুজিবুর রহমান ভুইয়া:
২৪ আর্টিলারী ব্রিগেড ও গুইমারা রিজিয়নের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুজ্জামান, এনডিসি, পিএসসি-জি বলেছেন, মানুষ মানুষের জন্য এ উপলব্ধি থেকে সকলকে কাজ করতে হবে। একজনকে অন্যজনের বিপদে এগিয়ে আসতে হবে। তবেই শান্তি আসবে। পাহাড়ে শান্তি থাকলেই উন্নয়ন হবে। শান্তি-সম্প্রীতি আর উন্নয়ন নিশ্চিত হলেই পাহাড়ের পিছিয়েপড়া দু:স্থ মানুষগুলো স্বনির্ভর হবে।
মঙ্গলবার সকালে মাটিরাঙ্গা জোন সদরের হেলিপ্যাডে ১৭ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারী মাটিরাঙ্গা জোনের উদ্যোগে অসহায় ও দু:স্থ মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।
কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে মাটিরাঙ্গা জোন অধিনায়ক লে. কর্ণেল মো. জিল্লুর রহমান পিএসসি-জি, গুইমারা রিজিয়নের বিএম মেজর নাজমুস সাকিব, মাটিরাঙ্গা জোনের জোনাল স্টাফ অফিসার মেজর নিয়ান মো. সাইফুল ইসলাম সাইফ, সহকারী কমিশনার (ভুমি) মো. ইমরুল কায়েস ও মাটিরাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সাহাদাত হোসেন টিটোসহ সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
নিজ নিজ অবস্থান থেকে সহযোগিতার হাত বাড়ানো হলে সব সমস্যা সমাধান সম্ভব বলেও মন্তব্য করেন গুইমারা রিজিয়নের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুজ্জামান, এনডিসি, পিএসসি-জি । তিনি বলেন, একটি দায়িত্বশীল বাহিনী হিসেবে সেনাবাহিনী দেশের কল্যাণে কাজ করার পাশাপাশি সমাজের অসহায় দু:স্থ মানুষগুলোর জন্য কাজ করার চেষ্টা করছে।
শীতার্ত ও অসহায় মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণের অংশ হিসেবে প্রথম পর্যায়ে মাটিরাঙ্গা পৌরসভাসহ মাটিরাঙ্গা ও গুইমারা ইউনিয়নের ৭‘শ অসহায় ও দুস্থ ব্যাক্তি মধ্যে কম্বল বিতরণ করে ১৭ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারী মাটিরাঙ্গা জোন।
পর্যায়ক্রমে জোনের দায়িত্বপূর্ণ বিভিন্ন এলাকায় এ কম্বল বিতরণ অব্যাহত রাখা হবে বলে জানিয়ে ১৭ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারী মাটিরাঙ্গা জোনের অধিনায়ক লে. কর্ণেল মো: জিল্লুর রহমান পিএসসি-জি পার্বত্যনিউজকে বলেন, আমরা সীমাবদ্ধতার মধ্যেওে চেষ্টা করেছি শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াবার। তিনি বলেন, শান্তি-সম্প্রীতি ও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হলে পাহাড়ের মানুষকে ভালো রাখতে হবে। মানুষকে ভালো রাখার চেষ্টারই অংশ শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ।
কম্বল নিতে আসা কমলা দেবী চাকমা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, আর্মিরা সবসময় আমাদের সাহায্য করেছে। তাদের সহযোগিতায় আমরা ভালো আছি। একই কথা বলেন ষাটোর্ধ বিধবা হেমা ত্রিপুরাও। তাদের মতে সেনাবাহিনী নিরীহ মানুষের পাশে সবসময় আছে। কম্বল নিতে আসা অনেকেই সেনাবাহিনীর জন্য দোয়া করতে দেখা গেছে।