রিমান্ডে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন বৌদ্ধ নেতা উ শি মং
পার্বত্যনিউজ ডেস্ক:
মিয়ানমারের রাখাইনে সন্ত্রাসবাদে মদদ দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার বৌদ্ধ নেতা উ শি মং রিমান্ডে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। রিমান্ডের দ্বিতীয় দিন শেষে শনিবার (২৮ অক্টোবর) বিকালে পুলিশ জানায়, উ শি মং সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করলেও জিজ্ঞাসাবাদে অনেক তথ্য দিয়েছেন।
রাজধানীর বিমানবন্দর থানা পুলিশের হেফাজতে তিন দিনের রিমান্ডে রয়েছেন বাংলাদেশি বৌদ্ধ নেতা উ শি মং (৬৭)। মিয়ানমার যাওয়ার পথে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকা থেকে গত ১৯ অক্টোবর তাকে গ্রেফতার করে র্যাব। পরে তাকে বিমানবন্দর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
উ শি মংয়ের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস দমন আইনে একটি মামলা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে তাকে তিন দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, রাখাইনের উগ্র জাতীয়তাবাদী গোষ্ঠীকে উ শি মংয়ের এনজিও ‘রাখাইন ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন’ সাহায্য-সহযোগিতা দিয়ে আসছে। তার স্ত্রী মিরা রাজা লিন আরাকান লিবারেশন পার্টির (এএলপি) একজন সিনিয়র সদস্য। তিনি মিয়ানমারেই থাকেন। রাখাইনে সাম্প্রতিক সহিংসতায় রোহিঙ্গাবিরোধী অবস্থান নিয়ে কাজ করছে এএলপি। রোহিঙ্গা-বিরোধীদের অর্থায়নেও সংস্থাটি কাজ করছে বলে তথ্য পেয়েছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে তার কাছে থেকে আরও তথ্য পাওয়া যাবে বলেও আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
রিমান্ডের দ্বিতীয় দিন শনিবার বিকালে বিমানবন্দর থানার ওসি নূর ই আজম মিয়া বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বৌদ্ধ নেতা উ শি মং অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন।’ তবে সেসব তথ্য প্রকাশ করেননি তিনি। আগামীকাল রবিবার তিন দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে পাঠিয়ে আবারও রিমান্ড চাইবেন তারা।
এর আগে ওসি নূর ই আজম মিয়া বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, বৌদ্ধ নেতা উ শি মংয়ের কাছ থেকে যে ল্যাপটপ জব্দ করা হয়েছে, তাতে বেশ কিছু তথ্য ও ছবি পাওয়া গেছে। ওইসব ছবির মধ্যে তার স্ত্রী মিরা রাজা লিনের সশস্ত্র ছবিও পাওয়া গেছে। উ শি মং মিয়ানমারের রাখাইন অঞ্চলের স্বাধীনতাকামীদের অর্থের যোগানদাতা বলেও জানিয়েছিলেন ওসি নূর ই আজম মিয়া।
জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও কক্সবাজার আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এথিন রাখাইন বৌদ্ধ নেতা উ শি মংয়ের ছোট বোন। এথিন রাখাইন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘উ শি মং একজন মুক্তিযোদ্ধা। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মানুষের সেবা করে যাচ্ছেন। শেষ বয়সে কেন তাকে এমন অপবাদ দেওয়া হচ্ছে জানি না। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। একদিন তিনি আদালতের মাধ্যমে নিরপরাধ হিসেবে বেরিয়ে আসবেন। রবিবার তাকে আদালতে তোলা হবে বলে শুনেছি।’
এথিন রাখাইন আরও বলেন, ‘রাখাইন ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন’ নামে একটি এনজিও চালান উ শি মং। এ জন্য তাকে ট্র্যাপে ফেলা হয়েছে। তিনি কোনও ধরনের সন্ত্রাসী বা উগ্রগোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত নন। ভাইয়ের স্ত্রী মিরা রাজা লিন মিয়ানমারে এএলপি নেতা, এটা ঠিক। তবে তাদের মধ্যে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ছাড়া আর কোনও সম্পর্ক নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘তারা এদেশের নাগরিক। বরগুনার তালতলিতে তাদের জন্ম।’
সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন
উসিট মং ও তার ছোটভাই অংশিট ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা, এরা অনেকদিন ধরে সরকার থেকে ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করে আসছে ভন্ডমি করে। ওদের বাবা থন চান অং মাষ্টার জিয়াউর রহমান সরকার আমলে গ্রাম সরকার প্রধান হয়েছিল।
Barguna District
I agrred