অবাধে পাথর-বালি উত্তোলন ও ফসলে কীটনাশক ছিঁটানো পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর
বান্দরবানে থানচি উপজেলার বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রের আশেপাশে ঝিড়ির ঝর্না ও সাংগু নদী হতে অবাধে ও নির্বিচারে বোল্ডার দিয়ে পাথর-বালি উত্তোলন, জুমে বিষাক্ত কীটনাশক ছিঁটানো, পর্যটন অঞ্চল ও বিভিন্ন সংরক্ষিত বনাঞ্চল হতে অবাধে মূল্যবান গাছ কর্তন, উপজেলা বাজার সমূহের বর্জ, তৈল, জ্বালানি ও গ্যাস যত্রতত্রভাবে বাজারে বিক্রি, জনসম্মুখে গৃৃহপালিত পশুদের যত্রতত্র মলমূত্র ত্যাগে পরিবেশের উপর মারাত্ম ক্ষতি হচ্ছে বলে সেমিনারে আলোচনা উঠে এসেছে।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কারিতাস বাংলাদেশ চট্টগ্রাম অঞ্চলের তত্ত্বাবধানে পার্বত্য অঞ্চলের জন্য এগ্রো ইকোলজি প্রকল্প- ২ এর আয়োজনে ‘পরিবেশ রক্ষায় করণীয়’ শীর্ষক কর্মশালা দিনব্যাপী বুধবার ১৪ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১০টা উপজেলা পরিষদের হল রুমে অনুষ্ঠিত হয়।
দিনব্যাপী কর্মশালায় সভাপতিত্ব ও শুভ উদ্ভোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও মু. আবুল মনসুর, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন থানচি কলেজের অধ্যক্ষ ধমিনিক ত্রিপুরা, উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নূর মোহাম্মদ, কারিতাস চট্টগ্রাম অঞ্চলে মনিটরিং রিপোর্টিং ও মিল জুনিয়র কর্মসূচি কর্মকর্তা ফরহাদ আজিম, বান্দরবান কার্যালয়ের জুনিয়র কর্মসূচি কর্মকর্তা উসিংনু মারমা, উপজেলা মাঠ কর্মকর্তা হাঁদি চন্দ্র ত্রিপুরা।
কর্মশালা অংশগ্রহণকারী ও অতিথিদের গ্রুপ করে তিনভাগে বিভক্ত হয়ে থানচি উপজেলা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবেশের সুরক্ষা করণীয় বিষয়ে আলোচনা করেন এবং গ্রুপ প্রধানরা পরিবেশ সুরক্ষায় করণীয় বিষয়ে বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
গ্রুপ আলোচনায় বক্তারা বলেন, কাটারযোগ্য গাছ কাটা এবং একটা কাটলে ১০টা রোপণ নিশ্চিত করার, পাথর-বালি উক্তোলন, জ্বালানি তৈলসহ রাসায়নিক গ্যাস, অকটেন,পেট্রল লাইসেন্সবিহীন বিক্রয়ের প্রতিটি বাজারে প্রশাসনিকভাবে তদারকি করার এবং সাপ্তাহিক ভ্রাম্যমাণ আদালত বসে জনসম্মুখে জড়িমানা ও শাস্তি ব্যবস্থা করা, পরিকল্পিতভাবে জুম চাষের উপর পরিবেশের ক্ষতি না হয় সে বিষয়ের সরকারি-বেসরকার, সুশীল সমাজ, হেডম্যান কারবারি ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে সেমিনার, উঠান বৈঠক এবং ব্যবস্থাপনার উপর স্থানীয়ভাবে নিয়ম-নিতিমালা করে গনসচেতনতার জন্য ভিডিও আকারে চলচ্চিত্র প্রদর্শন, ব্যাপক প্রচার প্রচারনা ও গৃহপালিত পশুপাখি যত্রতত্র ছেড়ে না দেয়াসহ পরিবেশ বান্ধব কর্মসূচি বাস্তবায়নের সুপারিশ করেন।
কর্মশালায় সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারী, এনজিও প্রতিনিধি, সাংবাদিক, ধর্মীয় গুরু, সুশীল সমাজের নেতা, কলেজের শিক্ষার্থীসহ ৩০ জন অংশ নেন।