আর কত কাঁদবে শাহপরীরদ্বীপের পানিবন্দি ৩৫ হাজার মানুষ
মুহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান, টেকনাফ:
টেকনাফ শাহপরীরদ্বীপে পানিবন্দি হাজার হাজার পরিবারের ঘরের চুলায় আগুন জ্বলছেনা এবং তাদের আহাজারীতে আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে। দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ১১.৪০০ মেঃ টন চাল বরাদ্ধ করলেও এখনো দূর্গত মানুষেরা ত্রাণ পায়নি। এসব এলাকার প্রায় ৬ হাজার পরিবারের গত এক সপ্তাহ ধরে চুলায় আগুন জ্বলছেনা। মাঝারী ও ভারী বর্ষন এখনও অব্যাহত রয়েছে।
টেকনাফ উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ শফিক মিয়া জানান, ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা আমাদের হাতে জমা না দেওয়ায় ত্রাণ বিতরণ করা সম্ভব হচ্ছেনা। জরুরী ভিত্তিতে তালিকা সংগ্রহ করে পানিবন্দীদের মাঝে ত্রাণ বিতরণের আশ্বাস দেন। টেকনাফ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার (পিআইও) জহিরুল ইসলাম জানান, পানিবন্দী ক্ষতিগ্রস্থদের ১০ কেজি করে চাল দেয়ার নির্দেশনা থাকলেও তালিকা না আসায় তা বিতরণ করা সম্ভব হচ্ছেনা।
শাহপরীরদ্বীপের পনিবন্দী মানুষেরা সংবাদকর্মীদেরকে জানান- বিগত ১ বছর ধরে বেড়িঁবাঁধ ভেঙ্গে জোয়ার ভাটায় বসবাস করে যাচ্ছি। অথচ আমাদের এই দূর্ভোগের কথা কেউ চিন্তা করছেনা। জনপ্রতিনিধিরা এসে আশ্বাসের বানী শুনিয়ে যাচ্ছে। এভাবে চলছে শাহপরীরদ্বীপবাসীর পানিবন্দী জীবন। শাহপরীরদ্বীপের ব্যবসায়ী হাশেম জানান- সরকার বেড়িঁবাধের জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা বরাদ্ধ দিলেও সঠিকভাবে ঠিকাদারেরা অনিয়মের কারণ ও নিম্ন মানের সামগ্রী দিয়ে বেড়িঁবাঁধ নির্মাণ করায় স্থায়ীভাবে বাঁধকে টিকে রাখা যাচ্ছে না। তাই আমাদের শাহপরীরদ্বীপ বাসীর দাবী প্রাণের দাবী অতিসত্তর তড়িৎ গতিতে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করে শাহপরীরদ্বীপ রক্ষা করা হোক।
এদিকে সাগরের লোনা পানি ঢুকে শাহপরীরদ্বীপ ও সাবরাংয়ের প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে। তম্মধ্যে অনেকে বসত বাড়ী ছেড়ে টেকনাফসহ বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। হাজার হাজার পরিবার পানিবন্দি ছাড়াও ফসলি জমি , পুকুরের মাছ ও চিংড়ি ঘের প্লাবিত হয়ে কোটি কোটি টাকার সম্পদের ক্ষতি হচ্ছে। বিগত প্রায় ১০ বছর ধরে টেকনাফ উপজেলার উপকূলীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৪ টি ফোল্ডারের ইমার্জেন্সি ওয়ার্ক না হওয়ায় বাঁধের বিভিন্ন স্থানে নতুন নতুন ভাঙ্গন ধরেছে।