উপজাতি তরুণ-তরুণীরাই বেশিরভাগ ক্যাসিনোর স্টাফ

fec-image

গত ১৮ সেপ্টেম্বর ফকিরাপুলের ইয়াংমেন্স ক্লাবে অবৈধ ক্যাসিনোতে অভিযান চালায় র‌্যাব। এর ধারাবাহিকতায় গত কয়েকদিনে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে ক্যাসিনোর সন্ধান পেয়ে সেগুলোতে অভিযান পরিচালনা করে। রোববার রাজধানীর মতিঝিলের মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ ক্যাসিনো সরঞ্জাম, চিপস, প্লেইং কার্ড, ছুরি, বেটিং গেম জব্দ করে পুলিশ। আর এ সব ক্যাসিনোতে বেশিরভাগ স্টাফই পাহাড়ি উপজাতি তরুণ-তরুণী বলে জানা গেছে।

এ সব ক্লাবের অভিযানে পাওয়া রেজিস্টার রুম থেকে স্টাফদের তালিকা ও বিবরণের রেজিস্টারও পুলিশ জব্দ করে এ সব তথ্য পায়। মতিঝিলের মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের রেজিস্টার খাতা যাচাই-বাছাই করে দেখা যায়, ক্লাবে প্রায় ৫০ জন স্টাফ কাজ করতো। তাদের অধিকাংশই বান্দরবান ও রাঙামাটির পাহাড়ি উপজাতি তরুণ-তরুণী। তাদের বয়সও কম। ১৯-২৩ বছরের মধ্যে এ সব তরুণ-তরুণীর বয়স।

পুলিশ ধারণা করছে, সাধারণত এ ধরনের ক্যাসিনো নেপালি কিংবা অন্য দেশের নাগরিকরা পরিচালনা করে। খরচ কমাতে ক্লাবটিতে পার্বত্য জেলার তরুণ-তরুণী ও উপজাতিদের নিয়োগ দেওয়া হয়।

কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে দেখা যায়, মোহামেডানে কর্মরতদের অধিকাংশের বয়স ১৯-২৩। তাদের কেউ কেউ এইচসএসসি পাস করেছে, কেউ আবার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। তারা পড়াশোনার পাশাপাশি ক্যাসিনোতে কাজ করছে।

জানা যায়, ক্লাবে জুয়া পরিচালিত হতো সকাল ১০টা থেকে পরদিন ভোর ৫টা পর্যন্ত, মোট ১৯ ঘণ্টা। ক্লাব বন্ধ থাকত মাত্র ৫ ঘণ্টা। কর্মচারীরা দুই শিফটে ১০ ও ৯ ঘণ্টা করে কাজ করতো। মেয়েদের ডিউটি থাকতো রাতে।

মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) আনোয়ার হোসেন জানান, বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযানে এসেছি। কতদিন ধরে চলছে, কারা এর সঙ্গে জড়িত এ সব বিষয় তদন্ত করে দেখব।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: ইয়াংমেন্স ক্লাবে, উপজাতি, ক্যাসিনো
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন