ক্রিমিয়া উপকূলে ইউক্রেন-রাশিয়ান সেনাদের মধ্যে চলছে ব্যাপক সংঘর্ষ


বিগত কয়েক মাস ধরেই প্রায়ই ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলার শিকার হচ্ছে রাশিয়ার রাজধানী মস্কো। এবার ইউক্রেন নজর দিয়েছে ক্রিমিয়ার দিকে। এরই মধ্যে রাশিয়া অধিকৃত এই ভূখণ্ডটির উপকূলে নেমেছে ইউক্রেনীয় সেনারা। দুই দেশের সৈন্যদের মধ্যে শুরু হয়েছে ব্যাপক সংঘর্ষ।
দেশটির কর্মকর্তা বলছেন, এটি ক্রিমিয়ায় রাশিয়ার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ইউক্রেনের ইতিহাসে সবচেয়ে জটিল এবং উচ্চাভিলাষী অভিযান হতে চলেছে।
মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্রিমিয়ার পূর্ব উপকূলে অবস্থিত ওলেনিভকা এবং মায়াক বসতির কাছে ইউক্রেনীয় সেনারা নেমেছে। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা বিভাগ জানিয়েছে, ইউক্রেনের সেনাবাহিনীকে এই কাজে সহায়তা করেছে দেশটির নৌবাহিনী।
ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা বিভাগ এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে, ইউক্রেনীয় প্রতিরক্ষাবাহিনীর সঙ্গে দখলদার বাহিনীর সেনাদের সংঘর্ষ হয়। এতে শত্রু পক্ষের জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।’ বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, এরই মধ্যে ইউক্রেনীয় সেনারা সেখানে জাতীয় পতাকা উড়িয়ে দিয়েছে।
অবশ্য এখন পর্যন্ত ক্রিমিয়ায় নিযুক্ত রুশ প্রশাসন ইউক্রেনের এই দাবির বিপরীতে কোনো মন্তব্য করেনি।
কিয়েভ সম্প্রতি রাশিয়ার রাজধানীকে লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালানো শুরু করলেও বিষয়টি নিয়মিত এবং ঘোষিত নয়। তবে রাশিয়া ইউক্রেনে কথিত বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর পর কিয়েভের তরফ থেকে ক্রিমিয়ায় অভিযান চালানো একটি বড় পদক্ষেপ। ইউক্রেনের দাবি করা পাল্টা আক্রমণে খুব বেশি সাফল্য অর্জিত না হলেও কিয়েভ এই অভিযান থেকে সাফল্য লাভের আশা করছে।
ইউক্রেন দাবি করেছে, তাদের সেনারা যে এলাকায় নেমেছে সেখানে রাশিয়া অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা স্থাপন করে রেখেছিল। তাঁরা এরই মধ্যে সেখানে একটি এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে। এ ছাড়া মায়াকে রাশিয়ার রেডিও ইঞ্জিনিয়ারিং রেজিমেন্ট মোতায়েন করা রয়েছে।