গুইমারায় উপজাতি কচু চোরকে আটক করায় বাঙালি মালিককে পিটিয়ে আহত


খাগড়াছড়ির গুইমারায় বাঙ্গালী কচু চাষীকে স্থানীয় উপজাতীয়রা বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (৩০ অক্টোবর) দিবাগত রাত আনুমানিক ১০টার দিকে উপজেলার বটতলী সংলগ্ন বড়টিলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সরেরজমিনে গিয়ে স্থানীয় ইউপি মেম্বার কংলাপ্রু মারমা ও কচু চাষীদের নিকট থেকে জানা যায়, খাগড়ছড়ি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরীর ৮ একর টিলাভূমি লিজ নিয়ে মানিকছড়ি উপজেলার গচ্ছাবিল এলাকার আব্দুল হক মোল্লার ছেলে দুলাল মিয়া কচু চাষ করে। কচুক্ষেত থেকে প্রায়ই কচু চুরি করে নিয়ে যায় উপজাতীয় স্থানীয় কিছু চোর। বিষয়টি নিয়ে ক্ষেতের মালিক দুলাল মিয়া কংজরী চৌধুরীসহ স্থানীয় মেম্বার ও কার্বারীকে জানান। তারা চোরকে হাতে নাতে ধরার পরামর্শ দেন।
বুধবার সকালে হাফছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি মেম্বার উলাপ্রু মারমা’র স্ত্রী কচু চুরি করে যাওয়ার সময়, মালিক দুলাল তার কাজের লোকজনসহ তাকে হাতে নাতে আটক করে।পরে তার স্বামী উলাপ্রু মারমা ( সাবেক মেম্বার) সুষ্ঠু বিচার করে দিবে এ প্রতিশ্রুতিতে তার স্ত্রীকে সে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। কচু ক্ষেতের পাহারাদার মেমং এর কাছ থেকে বাগানের মালিক জানতে পারে সন্ধ্যার দিকে কচু চুরি করার পরিকল্পনা করছে কিছু লোক ।
এই সংবাদের ভিত্তিতে ক্ষেতের মালিক চোরদের ধরার জন্য ১৮ জন শ্রমিকসহ ক্ষেতের কাছাকাছি গিয়ে দেখে দুইজন পাহাড়ি পুরুষ কচু তুলছে। বাগানের মালিক তার শ্রমিকদের নিয়ে ওই দুইজন চোরকে কচুসহ আটক করে।
পরে সাবেক ইউপি মেম্বার উলাপ্রু মারমা ও তার ছেলে ২০ – ২৫ জন লোকজন, লাঠিসোঁটা ও দা নিয়ে ক্ষেতের মালিক ও শ্রমিকদের আক্রমণ করে এবং চোর দুইজনকে ছিনতাই করে নিয়ে যায়।
এ সময় কচু বাগানের মালিক মোহাম্মদ দুলাল (৪৫) এর মাথা ফেটে যায় এবং গুরুতর আহত হয়। এছাড়াও সাধারণ শ্রমিকের কয়েকজন গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে পালিয়ে বিভিন্ন পাহাড়ে আস্রয় নেয়।এ সময় শ্রমিকদের বহনকারী চান্দের গাড়িটিও ভাংচুর করে দূর্বৃত্তরা ।
পরে স্থানীয় ইউপি মেম্বার কংলাপ্রু মারমা স্থানীয় এক সাংবাদিককে নিয়ে তাৎক্ষিনক ঘটনাস্থলে গিয়ে লুকিয়ে থাকা শ্রমিকদের উদ্ধার করে।এরপর পরই পুলিশ ও গুইমারা সাবজোনের নিরাপত্তা বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে শ্রমিকদের নিরাপদে নিয়ে আসেন।
গুরুতর আহত দুলাল মিয়াকে গুইমারা বিজিবি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রাতেই অ্যাম্বুলেন্সে যোগে চট্টগ্রাম মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে সাবেক ইউপি সদস্য উলাপ্রু মারমা ঘটনাটনার বিষয়ে অস্বীকার করেছেন।
এ বিষয়ে গুইমারা থানার ওসি তদন্ত সফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তারা রাতেই যৌথবাহিনীসহ ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নিবেন।