ঘুমধুমের তুমব্রু ও বাইশফাড়ি সীমান্তে ১৮ গোলার বিকট শব্দ
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুমের তুমব্রু ও বাইশফাঁড়ির বিপরীতে মিয়ানমার অংশ থেকে ১৮টি ভারী অস্ত্রের বিকট শব্দ শোনা গেছে। সীমান্তের ৩৪ ও ৩৭ নম্বর পিলারের মিয়ানমার এ অংশে কাঁটাতারের বেঁড়া ঘেষে এ আওয়াজ ভেসে আসে বলে জানান বাইশফাঁড়ি ও তুমব্রু গ্রামের লোকজন।
তারা জানান, মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার পরপর এ আওয়াজ আসতে শুরু করলে এপারে কর্মব্যস্ত লোকজন দ্রুত স্ব-স্ব বাড়িতে ফিরে যান ভয়ে। তারা মনে করছিলো সন্ধায় আবার কী হয়। কেননা গত বছর এ ধরণের গোলার আঘাতে তুমব্রু গ্রামে হতাহত হয় নিরীহ লোকজন। তাই তারা ভয় পান।
বাইশফাড়ি ও তুমব্রু গ্রামের বাসিন্দা জয়নাল আবেদীন ও সরওয়ার কামাল জানান,তারা তখন কেনা-কাটায় ব্যস্ত ছিলেন। ঠিক এ মুহূর্তে ৩৪ নম্বর পিলারের বিপরীতে মিয়ানমারের রাইট ক্যাম্প, কক্করৈংগ্যা ও মেধাই ক্যাম্প থেকে এ গোলার আওয়াজ আসে।
এদিকে, নাইক্ষ্যংছড়িস্থ তুবব্রু বিওপির দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত পিলার ৩৪ পিলারের বিপরীতে জিরো লাইন থেকে আনুমানিক ৫০০ গজ মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সীমান্তবর্তী বিজিপি রাইট ক্যাম্পে অতিরিক্ত ৮০/৯০ জন সেনা ও বিজিপি সদস্য বৃদ্ধি করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। যা স্থানীয় লোকজন দেখেছেন। এর আগে এ ক্যাম্পে দেখা যেতো ১০/১২ জন।
ধারনা করা হচ্ছে তারা রাখাইনে সরকার বিরোধী অস্ত্রধারী বিদ্রোহী আরকান আর্মিকে লক্ষ করে বিজিপি এ গোলা ছুড়ে মারে।
এ বিষয়ে ৩৪ বিজিবি অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, এটি মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয়। সোমবার দুপুরে এবং সন্ধ্যায় গোলাগুলির আওয়াজ শোনা গেলেও মঙ্গলবার সারা দিন ছিলো উল্টো। কোন ধরণের গোলার আওয়াজ নেই। কিন্তু সন্ধ্যার পর হঠাৎ আবারো গোলার আওয়াজ ভেসে আসলেও তা তাদের দেশের অভ্যন্তেরে করছে। তিনি আরো বলেন, তবুও সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার সেনা ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মাঝে চলমান সংঘর্ষের কারণে কেউ যেন এদেশে পালিয়ে আসতে না পারে বিজিবি সতর্ক রয়েছে। পাশাপাশি সীমান্তের লোকজন আতঙ্কগ্রস্ত না হওয়ার জন্যে বিজিবি টহল জোরদার ও সজাগ আছে।