ঘুমধুম সীমান্তের রাইট বিজিপি ক্যাম্প আরকান আর্মির দখলে, সংঘর্ষ চলছে ঢেঁকিবনিয়ায়


বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তের ৩৪ পিলার সংলগ্ন বিজিপির রাইট ক্যাম্প টানা ১৫ ঘণ্টার অধিক সময় দেশটির সরকার বাহিনীর সাথে যুদ্ধ চালিয়ে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরকান আর্মি দখল করতে সক্ষম হয়েছে জানা গেছে।
মিয়ানমার ভূখণ্ডে রাইট ক্যাম্পে দুই পক্ষের সংঘর্ষ প্রায় ৯৫ জন দেশটির বিজিপি সদস্য পালিয়ে এসে এপারে অস্ত্র ত্যাগ করে আশ্রয় নিয়েছে। যার ফলে উক্ত ক্যাম্পের লাগোয়া সীমান্তে গোলাগুলির শব্দ অনেকটা থেমে গেছে।
সোমবার(৫) ফেব্রুয়ারি ভোর রাত থেকে মিয়ানমারের ঢেঁকিবনিয়া ব্যাটালিয়ন সদর দখল নিতে বিদ্রোহীরা হামলা চালায়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সংঘর্ষ চলমান রয়েছে।
ভোর হতে ঘুমধুমের তুমব্রু সীমান্ত পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মিয়ানমার সরকার বাহিনীর একটি হেলিকপ্টার থেকে লোমহর্ষক গুলিবর্ষণ করলে দখল নেওয়া ক্যাম্প থেকে পাল্টা হামলা চালায় বিদ্রোহী আরকান আর্মি। এতে কোন ধরনের হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। গত রবিবার বিজিপি ক্যাম্প দখল নেওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষকালীন যারা গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছে তাদের অনেকের লাশ মিয়ানমার ভূখণ্ডে মাটি চাপা দিতে দেখেছে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।
গতকাল মিয়ানমার অভ্যন্তরে সংঘর্ষ চালাকালীন সীমান্তের এপারে (ঘুমধুম)’র স্থানীয় চার জন বাসিন্দা গুলিবিদ্ধ হয়। তারা হলেন, ঘুমধুম ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ক্যাম্প পাড়ার প্রবিন্দ্র ধর, রহিমা খাতুন (৪৫), শমশু আলম টিটু ও ২নং ওয়ার্ডের শমশু ফকির।
গুলিবিদ্ধরা বর্তমানে কক্সবাজার ও উখিয়ার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন নিটকস্থ স্বজনরা।
সরজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ঘুমধুমের সীমান্তবর্তী ৫টি স্কুল খোলা থাকলেও মিয়ানমারের সংঘর্ষের কারনে কোন ধরনের শিক্ষার্থীর উপস্থিতি ছিল না।
সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ছেলে-মেয়েদের স্কুল পাঠাবে বলেও জানিয়েছেন অভিভাবকরা।
বাংলাদেশের সীমান্তসুরক্ষায় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি সদস্যদের টহল জোরদারসহ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে।