চকরিয়ায় শত বছরের খোদারকুম পুকুর রক্ষায় উচ্ছেদ অভিযান

fec-image

কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভার শত বছরের ঐতিহাসিক প্রাচীনতম “খোদারকুম পুকুরটি” উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে জবর-দখলকারী রাহুগ্রাস থেকে দখল উদ্ধার করলেন উপজেলা প্রশাসন ও পৌর কর্তৃপক্ষ।

রবিবার দিবাগত রাতে কতিপয় একটি চক্র শত শত মানুষের ব্যবহৃত পুরাতন এই পুকুর জবর দখলে নিতে মেতে উঠে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ব্যাপক ভাবে প্রচার করলে ভাইরাল হয়ে পড়ে। ভাইরাল হওয়া পুকুরের বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন ও পৌর কর্তৃপক্ষের নজরে আসলে শত বছরের প্রাচীনতম পুকুর রক্ষায় প্রশাসন অভিযান চালিয়ে নির্মাণাধীন স্থাপনা ভেঙে ও গুড়িয়ে দিয়ে দখল উচ্ছেদ করেন।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) বিকেলে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ফখরুল ইসলামের নেতৃত্বে এবং পৌরসভার সার্বিক সহযোগীতায় এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন।

স্থানীয় এলাকাবাসী ও অভিযান সূত্রে জানা গেছে, চকরিয়া পৌরসভার ৪নম্বর ওয়ার্ডস্থ প্রাচীনতম জলধার খোদারকুম পুকুরটি রাতের আঁধারে স্থাপনা নির্মাণ করে দখলে নিতে মেতে উঠে একটি জবরদখলকারী চক্র। গত রবিবার দিবাগত রাতে জলধারের পূর্বপাশে রাস্তা লাগোয়া প্রায় ৫০-৬০ ফুট পুকুরের জায়গায় কালো পলিথিন দিয়ে ডেকে রেখে পুকুরের মধ্যে গাছ টাঙিয়ে টিনের দোকানঘর তৈরি করেছিল। রাতের আঁধারে স্থাপনা নির্মাণ করে পুকুর দখলের বিষয়টি এলাকার সচেতন মহলের মাঝে ভাবিয়ে তুলে। খোদারকুম সংলগ্ন আশপাশের শত শত বাসিন্দারা এই পুকুরের পানি বসতঘরের নিত্যনৈমত্তিক ও দোকানপাট, মানুষের গোসলসহ বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করে আসছিল বলে জানায়। এছাড়াও এলাকার অগ্নিকাণ্ড রক্ষায় পানি ব্যবহারের একমাত্র উপায় এ পুকুর। পুকুরটি রক্ষানাবেক্ষণে ইতিপূর্বে প্রশাসনের অর্থায়নে ধারক দেয়াল ও জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য সিঁড়ি নির্মাণ করে দেয়। যেহেতু এ পুকুরের পানি সর্ব মৌসুমে একই অবস্থা থাকে। সম্প্রতি সময়ে এই পুকুরটি দখলে নিয়ে স্থাপনা নির্মাণে মেতে উঠে একটি ভূমিদস্যু চক্র। শত বছরের পুরাতন খোদারকুম পুকুরটি রক্ষায় স্থানীয় ভুক্তভোগীরা উপজেলা প্রশাসন ও পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী বরাবর লিখিত অভিযোগও দায়ের করেন।
দখল উচ্ছেদ অভিযানের সময় চকরিয়া পৌরসভার পৌর প্রশাসনিক কর্মকর্তা (পৌর সচিব) মাসউদ মোর্শেদ, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবুল হাসনাত সরকারসহ উপজেলা প্রশাসন ও পৌরসভার বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং বিপুল সংখ্যক গণমাধ্যমকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

অভিযানের ব্যাপারে জানতে চাইলে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, শত বছরের সাধারণ মানুষের ব্যবহৃত খোদারকুম পুকুরটি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করা হয়। বিষয়টি প্রশাসনের দৃষ্টিতে আসায় ও জনগণের দাবির প্রেক্ষিতে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে নির্মাণাধীন স্থাপনা ভেঙে গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: কক্সবাজার, চকরিয়া
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন