চকরিয়ায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুইজন নিহত: তিনটি আগ্নেয়াস্ত্রসহ আটক ২

fec-image

চিংড়িজোন হিসেবে খ্যাত কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার পশ্চিম বড় ভেওলাস্থ ইলিশিয়ার ডেবডেবী এলাকায় র‌্যাবের সঙ্গে সশস্ত্র ডাকাতদলের ঘন্টাব্যাপী বন্দুকযুদ্ধ হয়েছে।

এ সময় দুইপক্ষের ছোড়া মুহুর্মুহ গুলিতে আশপাশের এলাকা প্রকম্পিত হয়ে উঠে। একপর্যায়ে ডাকাতদল পিছু হটলেও তাদের দুই সতীর্থকে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র, বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ ও ধারালো অস্ত্রশস্ত্রসহ আটক করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয় গুলিবিদ্ধ দুই সন্ত্রাসীকে। পরে তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেকে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।

সোমবার (৬ নভেম্বর) ভোর রাতের দিকে উপজেলার চিংড়ি জোনস্থ পশ্চিম বড় ভেওলা ইউনিয়নের ইলিশিয়া ডেবডেবী এলাকার ৫৫০ একরের একটি চিংড়ি প্রকল্পে এ ঘটনা ঘটে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, লিজমূলে বৈধ মালিক মোয়াজ্জেম হোসাইন শাওন নামের এক ব্যক্তির মালিকানাধীন ও দখলীয় ৫৫০ একরের চিংড়ি প্রকল্পটি কক্সবাজার ও চকরিয়া কেন্দ্রীক একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট জোরপূর্বক জবর-দখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছিল দীর্ঘসময় ধরে। একইভাবে বিপুল পরিমাণ অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদসহ রবিবার দিবাগত রাত একটার পর থেকে ওই প্রকল্পে অন্তত শতাধিক সশস্ত্র ডাকাত-সন্ত্রাসী অবস্থান নেয়। খবর পেয়ে অভিযানে যায় র‌্যাব। এ সময় র‌্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে র‌্যাবকে লক্ষ্য করে অন্তত ৭০ রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে। র‌্যাবও পাল্টা জবাবে অন্তত ২০০ রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে। পরে ডাকাত-সন্ত্রাসীদল পিছু হটে। তবে ঘটনাস্থল থেকে দুই সন্ত্রাসীকে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র, বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ, ধারালো অস্ত্রশস্ত্রসহ আটক করে।

এ সময় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মাটিতে পড়ে থাকা দুইজনকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করে।

পুলিশ ও র‌্যাব জানায়, দুইপক্ষের সঙ্গে বন্দুকযুুদ্ধের সময় নিহত দুই সন্ত্রাসী এবং অস্ত্র-গোলাবারুদসহ আটক অপর দুই সন্ত্রাসীর সঠিক পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তাদের পরিচয় শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।
র‌্যাব কক্সবাজার ক্যাম্পের অধিনায়ক (সিও) ল্যাফটেনেন্ট কর্নেল মো. খায়রুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এ ব্যাপারে আইনগত পদক্ষেপের অংশ হিসেবে মামলার প্রস্তুতি ও অস্ত্র-গোলাবারুদসহ আটককৃতদের থানায় সোপর্দ করার প্রস্তুতি চলছে।

চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে থানার একদল পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে নিহত দুইজনের লাশ হেফাজতে নিয়ে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। আরও বিস্তারিত পরে জানানো হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন