টেকনাফে দু’দিনে ২০৬ টি কাছিমের বাচ্চা বঙ্গোপসাগরে অবমুক্ত
টেকনাফে দু’দিনে ২০৬ টি কাছিমের বাচ্চা বঙ্গোপসাগরে অবমুক্ত করা হয়েছে।
বুধ ও বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার শামলাপুর ইউনিয়নেরউত্তর শীলখালী কাছিমের হ্যাচারী থেকে এসব বাচ্চা অবমুক্ত করা হয়।
এই সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন, সিনিয়র প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা নারায়ন চন্দ্র দাস, উপ-প্রকল্প পরিচালক অসীম বড়ুয়া উপস্থিত ছিলেন।
উপ-প্রকল্প পরিচালক অসীম বড়ুয়া বলেন, সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের লক্ষ্যে জেলে সম্প্রদায়সহ স্থানীয় জনসাধারনের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কোডেক নেচার এন্ড লাইফ প্রকল্প স্থানীয় ভিত্তিতে কাজ করে যাচ্ছে।
এর পাশাপাশি টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া এবং উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নে সামুদ্রিক সৈকতে প্রকল্পের উদ্দ্যোগে কাছিমের ৩টি হ্যাচারী স্থাপন করা হয়।
এ বছর এ পর্যন্ত ৯৭টি কাছিমের বাসা থেকে ১০৪৭৫ ডিম সংগ্রহ করে উক্ত হ্যাচারী ৩টিতে সংরক্ষন করা হয়।
নির্দিষ্ট প্রজনন সময় পর হ্যাচারীগুলো থেকে এ পর্যন্ত ২০৬ টি কাছিমের বাচ্চা পাওয়া যায়। যা সমুদ্রে অবমুক্ত করা হয় এবং বাকীগুলো হ্যাচারীতে প্রজনের অপেক্ষায় রয়েছে। প্রজনন পরবর্তী বাচ্চাগুলো সাগরে অবমুক্ত করা হবে।
উল্লেখ্য, ইউএসআইডি অর্থায়নে (কোডেক) কর্তৃক বাস্তবায়িত নেচার এন্ড লাইফ প্রকল্পের আওতায় এই কর্মকান্ড পরিচালিত হচ্ছে।