থাইংখালীতে বসেছে কোরবানীর পশুর হাট; এখনও জমে ওঠেনি

fec-image

উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের থাইংখালীতে প্রতি বছরের ন্যায় কোরবানীর ঈদকে ঘিরে এবারেও বসেছে পশুর হাট-বাজার। স্টেশন সংলগ্ন ব্রীজের দক্ষিণ-পূর্ব কোণে গড়ে ওঠেছে এবারের পশু বেচাকেনার হাট।

শনিবার (৩ আগস্ট) দুপুর ২ টার দিকে শুরু হয়েছে হাট-বাজার, দেখা মিলেছে দেশীয় গরু-ছাগলের। ঈদের আগের দিন পর্যন্ত এই হাটে পশু বেচাকেনা অব্যাহত থাকবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।

তবে বেচাকেনার শুরুর দিকে এখনও জমে ওঠেনি হাট-বাজার। তেমন একটা দেখা মিলছেনা ক্রেতাদেরও। বেচাকেনার প্রথম দিন হিসেবে বিক্রেতাদের মধ্যেও তেমন রমরমা ভাব লক্ষ্য করা যায়নি। পশুর হাট দেখতে আসা অনেক লোকজন পশুর দাম জিজ্ঞেস করে বাড়ি ফিরছেন। তবে কি অগের তুলনায় পশুর দাম বৃদ্ধি পয়েছে!

এদিকে পূর্বের তুলনায় দেশের বাইরে থেকে গরু আমদানী কমেছে বলে জানিয়েছেন ইজারাদারেরা। তাঁরা জানান, প্রথম দিনে হাটে বাইরের কোনো গরু-ছাগল আসেনি। সবগুলোই স্থানীয় গরু-ছাগল তোলা হয়েছে হাটে। থাইংখালীর রহমতেরবিল, ধামনখালী, গৌজুঘোনা, ঘোনারপাড়া, তাজনিরমার খোলা, হাকিম পাড়া ও আশার পাড়া এলাকা থেকে শুরুতেই শতাধিক গরু ও অল্প কয়েকটি দেশী ছাগল বাজারে তোলা হয়েছে। কিন্তু সেই হারে ক্রেতাদের আনাগোনা দেখা যায়নি।

এবারে স্থানীয় খামারীরা হাটে যেসব দেশী গরু-ছাগল তুলেছেন তার চওড়া দাম হাঁকছেন। হাটে গরু বিক্রি করতে আসা ফরহাদ বলেন, “দেশের মধ্যে এখনো পর্যন্ত অহরহ বিদেশী গরু ঢুকেছে শুনিনি। যদি এরকম হয় তাহলে বিক্রেতারা এবারে অধিক লাভবান হবেন। পূর্বের তুলনায় বেশি দামে গরু-ছাগল বিক্রি করা যাবে। রোহিঙ্গাদের কারণেও গরুর চাহিদা বাড়বে এবছর।”

হাটে গরু ক্রয় করতে আসা জোবাইর বলেন, “হাটে গরুর দাম দেখতে এসেছি। কিন্তু যে হারে দাম হাঁকছেন বিক্রেতারা সেরকম বিক্রি হলে আমাদের মতো অনেকেই গরু ক্রয় করতে হিমসিম খাবে। কিছু কিছু লোক কোরবানি দিতে অর্থ সংকটে পড়বে।”

ইতিমধ্যে থাইংখালীতে বসা পশুর হাট পরিদর্শন করেছেন স্থানীয় কয়েকজন জনপ্রতিনিধিসহ সমাজের প্রধানরা। পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন পালংখালী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের মোজাফফর আহমদ সওদাগর। তিনি ঘুরেফিরে দেখেছেন হাট ও গরু-ছাগলের দাম জিজ্ঞাসা করেন বিক্রেতাদের কাছে।

তিনি জানান, “পশুর হাট পরিদর্শন করে দেখা গেছে সবই স্থানীয় লোকদের খামারে বা নিজের পালন করা পশু। বেশিরভাগ খড়কুটো খাইয়ে মোটাতাজা করা গৃহপালিত পশুই এখানে তোলা হয়েছে। তবে এবারে পশুর চওড়া দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। একসময় যে গরুটি ৪০-৫০ হাজার টাকায় কেনা পাওয়া যেতো সে গরু এবারে ৬৫-৭৫ এর উপরে দাম হেঁকেছে বিক্রেতাগণ। যা ক্রয় করা সমাজের গরীবদের জন্য কষ্টসাধ্য ও দুরূহ।”

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন