দেবাশীষ রায়কে নাগরিকত্ব সনদে `আদিবাসী’র পরিবর্তে `উপজাতি’ বা `ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী’ লেখার নির্দেশ

fec-image

চাকমা সার্কেল চিফ ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়কে নাগরিকত্ব সনদে পার্বত্য চট্টগ্রামে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের বেলায় ‘আদিবাসী’ লেখার পরিবর্তে ‘উপজাতি’, ‘ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী’, ‘ক্ষুদ্র জাতিসত্তা’ প্রভৃতি লেখার জন্য পুনঃনির্দেশ দিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

গত ১১ অক্টোবর ২০২০ তারিখে মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এ নির্দেশপত্রে আরো বলা হয়েছে, বোমাং সার্কেল চিফ ও মং সার্কেল চিফ সরকারি এ নির্দেশনা পালন করলেও চাকমা সার্কেল চিফ তা উপেক্ষা করছেন।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব শাহানারা ইয়াসমিন লিলি কর্তৃক সাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়েছে, “পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি তথা পার্বত্য শান্তিচুক্তির ‘খ’ খণ্ডের ১ নং ধারায় পরিষদের আইনে ‘উপজাতি’ শব্দটি বলবৎ থাকবে মর্মে উল্লেখ রয়েছে। এ ছাড়া গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ২৩ ক অনুচ্ছেদে উল্লেখেআছে যে, ‘রাষ্ট্র বিভিন্ন উপজাতি, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের অনন্য বৈশিষ্ট্যপূর্ণ আঞ্চলিক সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও বিকাশের ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।’

সূত্রস্থ স্মারকে সংশ্লিষ্ট সকলকে সংবিধানে উল্লিখিত শব্দাবলী ব্যবহারের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়।”

চিঠিতে আরো বলা হয়েছে, “বিশেষ সূত্রে জানা যায় যে, উপরোক্ত নির্দেশনার বিষয়টি ‘বোমাং সার্কেল’ ও ‘মং সার্কেল’ কর্তৃক যথাযথভাবে পালন করা হলেও ‘চাকমা সার্কেল’ চিফ নাগরিকত্ব সনদপত্র প্রদানে উপেক্ষা করে যাচ্ছেন।

বর্ণিতাবস্থায় নাগরিক ’সনদ প্রদানে বা দাপ্তরিক কাজে ‘আদিবাসী’ শব্দের পরিবর্তে সংবিধানের উল্লিখিত শব্দাবলী ব্যবহারের জন্য পুনরায় অনুরোধ করা হলো।

উল্লেখ্য, এর আগেও একই মন্ত্রণালয় থেকে তিন সার্কেল চিফের উদ্দেশ্যে এ ধরনের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছিল। এ বিষয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব শাহানারা ইয়াসমিন মিলির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি পার্বত্যনিউজকে এই নির্দেশনার সত্যতা স্বীকার করেন।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, চাকমা সার্কেল, চাকমা সার্কেল চিফ
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন