ধৈর্য ধরুন, সিনহা স্যারকে কিভাবে হত্যা করা হয়েছে সবই বলব: শিপ্রা ও সিফাত
পুলিশের গুলিতে নিহত সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের দুই সহযোগী শিপ্রা ও সিফাত এখন মুক্ত কারামুক্ত।
মেজর সিনহা পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়ার সময় তারা দুজন ছিলেন প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী। পুলিশের গুলিতে মেজর সিনহা নিহত হওয়ার পর পুলিশ তারা দুইজনকে আটক করে এবং তিনটি মামলায় তাদেরকে কারাগারে পাঠিয়েছিল।
আদালতে নির্দেশে শিপ্রা রবিবারে এবং সিফাত সোমবারে কক্সবাজার কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান। তারা দুইজন এখন মেজর সিনহা হত্যা মামলার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী।
ইতিমধ্যে পরিস্থিতি পাল্টে গেলে চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলায় টেকনাফের সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও শামলাপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের আইসি লিয়াকতসহ ৯ পুলিশ সদস্যকে আসামি করে আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন মেজর সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস।
এতে করে ওসি প্রদীপ ও আইসি লিয়াকতসহ ৭ আসামী ৬ আগষ্ট কক্সবাজার আদালতে আত্মসমর্পণ করে। কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত হয়ে আসেন মেজর সিনহার দুই সহয়োগী নিরপরাধ শিপ্রা ও সিফাত।
সোমবার রাতে শিপ্রা ও সিফাত এক সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তারা দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞ। তারা একটু সময় চেয়ে বলেছেন- আমরা স্যারকে (মেজর সিনহা) কিভাবে হত্যা করা হয়েছে সবই বলব। তবে আমাদেরকে একটু সময় দিন।
শিপ্রা বলেন, প্লিজ প্রে ফর আস। আপনারা আমাদের পাশে ছিলেন এজন্য আমরা কৃতজ্ঞ। আশাকরি আগামীতেও আমাদের পাশে থাকবেন।
আমরা প্রত্যেকটা সত্য কথা বলব। কিছু গুজব ছড়ানো হচ্ছে। আমরা সব সত্য কথা দেশবাসীকে জানাব। আজ এতটুকুই। ধৈর্য ধরুন আমাদের একটু সময় দিন।
সিফাত বলেন, আমি কারাগার থেকে বের হয়ে পরিবারের সাথেই আছি। আমি সুস্থ আছি। এসময় তাদের দুইজনের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সাহেদু ইসলাম সিফাত ও শিপ্রা রানী দেবী দুইজই ঢাকা স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির ছাত্র এবং নিহত মেজর সিনহার নির্মিতব্য চলচিত্রের সহযোগী। তারা গত ৩ জুলাই কক্সবাজার আসেন এবং হিমছড়ি সৈকতের নীলিমা রিসোর্টে উঠেন।