কোনো সরকারেরই আন্তর্জাতিক ইস্যুর ক্ষেত্রে একক সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত নয় : এনসিপি নেতা আলাউদ্দীন মাহমুদ


জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব, আলাউদ্দীন মাহমুদ এক ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, গণঅভ্যুত্থান-এর একটি আকাঙ্ক্ষা হলো পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ। কোন সরকার চাইলেই নিজেদের মতো করে কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না।
জাতীয় ঐক্যমতের মাধ্যমে যে ধরনের পররাষ্ট্রনীতি গৃহীত হবে, সেগুলোই নির্বাচিত সরকার বাস্তবায়ন করবে। কোনো বিশেষ দলের সরকারের কারো সাথে ঘনিষ্ঠতা থাকতেই পারে। কিন্তু সে ঘনিষ্ঠতা রাষ্ট্রের মৌলিক কোনো নীতি পরিবর্তন করতে পারবে না।
তদ্রুপ জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে দেশ কোনো ক্রিটিক্যাল অবস্থায় যুদ্ধে জড়াবে, নাকি জড়াবে না, তাও কোন সরকারের একার সিদ্ধান্তে হবে না। এ ধরনের ক্ষেত্রে অবশ্যই রাজনৈতিক দল ও জনমতের প্রতিফলন ঘটে- এমন সবার সাথে আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
বাংলাদেশের ভূখন্ড ব্যবহার করে রাখাইন স্টেটে “হিউম্যানিটারিয়ান করিডোর” অনুমোদন দেয়ার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে কার্যকর আলোচনা প্রয়োজন ছিল। অন্তর্বতীকালীন সরকারের জাতীয় নিরাপত্তামূলক নীতি গ্রহণে অবশ্যই ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা উচিত।
তাছাড়া গণঅভ্যুত্থান-উত্তর বাংলাদেশে কোন সরকারেরই আন্তর্জাতিক ইস্যু ডীল করার ক্ষেত্রে এককভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত নয়। প্রস্তাবিত উচ্চকক্ষ অথবা জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলে এ ধরনের সংবেদনশীল বিষয় নিয়ে আলাপ চালিয়ে যেতে হবে। আলোচনা ব্যতীত এ ধরনের সিদ্ধান্তে অন্তর্বতীকালীন সরকারের ইনটেগ্রিটি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে।