পানছড়ির প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনগুলো চালুর আহ্বান

fec-image

দেশের বিভিন্ন শহর থেকে প্রতিনিয়ত নিজ এলাকা পানছড়িতে ফিরে আসছে জনসাধারণ। এরই মাঝে ওমরপুর এলাকার হানিফ, জলিল, রমিজা, ফাতেমানগরের আবু তাহের, তার স্ত্রী, মো. আলম, শহিদুল, রায়হান, সোনিয়া, রুহুল আমিন ও পানছড়ি বাজারের কিছু ব্যবসায়ীসহ অনেকে ফিরে এসেছে। তারা নবাগত আগতরা সরকারি স্বাস্থ্য বিধি না মেনে বীর দর্পে পুরো এলাকা ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে পাড়া-প্রতিবেশীদের অভিযোগ। কেউ কিছু বললেই তাদের বায়না আমরা হোম কোয়ারেন্টিনে আছি।

জানা গেছে বিভিন্ন শহর থেকে ফেরা যারা হোম কোয়ারেন্টিনের দোহাই দিচ্ছে তারা পুরো পরিবার মিলে ব্যবহার করছে একটি টয়লেট। যার ফলে অতি দ্রুত ছড়াতে পারে করোনাভাইরাস। অথচ করোনা মহামারীর শুরুতে পানছড়ির উপজেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ প্রশাসন, সকল ইউপি চেয়ারম্যান, যুব রেড ক্রিসেন্ট এবং আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের সার্বিক সহযোগিতায় সকল কার্যক্রমে ছিল জেলা সেরা।

প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনগুলেতে দেড় হাজার পর্যন্ত অবস্থন ছিল। কিন্তু বিগত কয়েকদিন যাবৎ প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনগুলো প্রায় জনশূণ্য। শুধু লতিবান ইউপির নালকাটা উচ্চ বিদ্যালয় ও দুধুকছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় দুটি কিছুটা সচল রয়েছে।

রেড ক্রিসেন্টের আজীবন সদস্য ও উপদেষ্টা বিদ্যালয় শিক্ষক মোফাজ্জল হোসেন জানান, জনসেচনতনামূলক কাজ করতে গিয়ে এরই মাঝে স্বেচ্ছাসেবীরা বহু প্রতিকূলতার স্বীকার হয়েছে। জনসেচনতনা বৃদ্ধির লক্ষে জনপ্রতিনিধি, সচেতন সমাজ ও রাজনীতিবিদদের এগিয়ে আসা দরকার।

লোগাং ইউপি চেয়ারম্যান প্রত্যুত্তর চাকমা জানান, করোনা শনাক্ত ব্যক্তিদের আইসোলেশনে আনার ব্যাপারে পাবলিক পরিবহন ব্যবহার করলে চালককে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়। তাই তাদের পরিবহনের জন্য পানছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এম্বুলেন্স ও ইপসা এম্বুলেন্সটি যে কোন মুহুর্তে প্রস্তুত রাখা দরকার। বিভিন্ন কায়দায় শহর থেকে গ্রামে ফেরা মানুষগুলো পানছড়ির পরিস্থিতি ভয়াবহ করে তুলতে পারে বলেও তিনি জানান।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও প: প: কর্মকর্তা ডা. অনুতোষ চাকমা জানান, করোনা রোগী পরিবহনের জন্য আলাদা পরিবহন দেয়ার কথা বলেছে প্রশাসন। তাছাড়া যারা হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছে পর্যায়ক্রমে সবার নমুনা সংগ্রহ করা হবে যাতে কারো মাঝে কোন ভীতি কাজ না করে। করোনার লক্ষণ রয়েছে এমন সন্দেহভাজনদের নাম ও ঠিকানা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জানালে অতি দ্রুত নমুনা সংগ্রহ করা হবে বলেও তিনি জানান।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম জানান, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ইচ্ছা করলে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন চালু রাখতে পারে। উপজেলা প্রশাসন সে ব্যাপারে আগের মতো সার্বিক সহযোগিতা দিবে। পানছড়ির সর্বমহলের দাবি উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের হাত ধরেই প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনগুলো চালু রাখলে পানছড়িকে করোনামুক্ত রাখা সম্ভব।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: কোয়ারেন্টিন:, পানছড়ির, প্রাতিষ্ঠানিক
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন