পানছড়ির শাহানা ও হামিদের মুখে হাসি ফুটালো বিজয় দেব
পানছড়ি ইসলামিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার পিছনে বাঁশঝাড় বেষ্টিত চেঙ্গী খালের পাড়েই আবদুল আলী ও হামিদার জরাজীর্ণ ঘর। ১৯৯৫ সালের দিকে উপজেলার সূতার্ম্মাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানিজিং কমিটির ভোটে পাশ করে আবদুল আলী।
তাছাড়া শীতের সময় পানছড়ি বাজারে বিক্রি করে চিতই পিঠা। তাই সব মিলে সে পিঠা মেম্বার হিসেবেই একনামে পরিচিত। তার সন্তান শাহানা (২০) ও আবদুল হামিদ (১৫) দু’জনই খর্বকায় প্রতিবন্ধী। সংসারে অভাব তাদের নিত্য লেগেই আছে।
এই অভাবের সংসারে ঈদের হাঁসি ফোটাতে শাহানা ও আবদুল হালিমের জন্য ঈদ উপহার নিয়ে বৃহস্পতিবার (২১ মে) দুপুরে সরেজমিনে ছুটে যান পানছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিজয় কুমার দেব।
সংবাদকর্মীর উপস্থিতি টের পেয়ে তিনি বলেই ফেললেন, ভাবছিলাম গোপনে তাদের ঈদ উপহার দিয়ে চলে যাব কিন্তু শেষ রক্ষা হলোনা। পেপারে না লিখলে হয়না?
নিজের অনুভুতি জানাতে গিয়ে তিনি জানান, আসলে শাহানা ও আবদুল হামিদের ঈদ উপহারের কথা আমি স্মরণ রেখেছি। আমার সামান্য উপহার পেয়ে তারা দু’জন যে স্বস্তির হাসি দিয়েছে আমি এতেই আনন্দিত।
তাদের মা হামিদা জানায়, এবারের ঈদে কেনাকাটা করার মতো টাকা পয়সা হাতে নাই। বিজয় দা আমার ছেলে-মেয়ের জন্য যেসব সামগ্রী কার্র্টূন ভর্তি করে নিয়ে এসেছে তা দিয়ে কমপক্ষে এক সপ্তাহ ঈদানন্দ করা যাবে। প্রাণ ভরে দাদার জন্য দোয়া রইল।
পানছড়ি ইসলামিয়া সিনিয়র মাদ্রাসায় অষ্টম শ্রেণীতে পড়ুয়া আবদুল হামিদ জানায়, এবারের ঈদ হবে সেই। পানছড়ি উপজেলার সকল সম্প্রদায়ের প্রিয় ব্যক্তিত্ব বিজয় কুমার দেব ইতোমধ্যে প্রায় তিন শতাধিক হত-দরিদ্র পরিবারের মাঝে পৌঁছে দিয়েছেন ঈদ উপহার সামগ্রী।