পালংখালীতে বাড়ছে ইয়াবা কারবারীদের তৎপরতা

উখিয়া উপজেলার ক্রাইম জোন নামে খ্যাত পালংখালীতে হঠাৎ ইয়াবা ও মাদক কারবারীদের তৎপরতা বাড়ছে। সীমান্ত সংলগ্ন এই ইউনিয়নের অন্তত শতাধিক শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী রয়েছে। যারা ইয়াবা ও মাদক পাচার অব্যাহত রাখলেও প্রশাসনের নজরে না আসায় রয়ে গেছে ধরাছোয়ার বাইরে। সম্প্রতি বিজিবি ইয়াবা উদ্ধার করতে গিয়ে ইয়াবা কারবারীর হামলার শিকার হয়েছে। শুধু বিজিবি নয়, শনিবার শীর্ষ ইয়াবা গডফাদারদের হাতে নির্মম হামলার শিকার হন একজন সংবাদকর্মীও।

সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার সদর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দুরত্বে পালংখালী। এর থেকে ৫ কিলোমিটার অদুরে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত এলাকা নলবনিয়া আর গয়ালমারা। এই দুরত্বের কারনে ইয়াবা ও মাদক কারবারীরা প্রশাসনের নজরে আসছেনা সহজে। আর যার ফলে রয়ে গেছে ধরাছোয়ার বাইরে। দীর্ঘদিন বেপরোয়া ভাবে ইয়াবা ও মাদকের কারবার করে কোটি কোটি টাকা মালিক বনে যাওয়ায় স্থানীয় নিরহ লোকজনকে তোয়াক্কা করছেনা এসব ইয়াবা ও মাদক কারবারীরা। যার কারনে তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে হামলা,মামলাসহ বিভিন্ন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাচ্ছে।

নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের মধ্যে রাজাপালংয়ের পর জনসংখ্যার দিক থেকে পালংখালী ২য় অবস্থানে। কিন্তু ইয়াবা ও মাদক কারবারীর সংখ্যা ৫ ইউনিয়নের মধ্যে পালংখালী শীর্ষে। কারণ মিয়ানমারের সাথে সরাসরি একমাত্র সীমান্ত স্থলপথ রয়েছে এই ইউনিয়নের সাথে। এই সীমান্ত দিয়ে আজ থেকে ৪/৫ বছর পূর্বে যখন প্রথম ইয়াবা প্রবেশ করে তখন এর সংখ্যা ছিল হাতেগোনা। এখন শতাধিক ইয়াবা গডফাদার রয়েছে। যারা রাতি রাতি আঙ্গুল পুলে কলাগাছ বনে গেছে।

তৎমধ্যে রয়েছেন পালংখালী ঘোনারপাড়া এলাকার আপ্পেলাতুল প্রকাশ দৈন্যর ছেলে মোঃ রাশেল (৩২), পালংখালী এলাকার মনজুর আলমের ছেলে মুইন্যা প্রকাশ কানা মইন্যা ((৩৮) তার ভাই সোনা মিয়া (৩৪), আনোয়ার হোসেন জাবু(৩৬)। আর সম্প্রতি পালংখালী সীমান্ত সংলগ্ন নলবনিয়া এলাকায় বিজিবি’র উপর হামলাকারী শীর্ষ ইয়াবা গডফাদার জালাল আহমদের ছেলে লুৎফুর রহমান(৩৫), তার ভাই মোঃ কালু প্রকাশ সেলিম (৪৫), আইয়ুবুল ইসলাম(৩০) এবং আলী আকবর (২৮)।

এছাড়াও শনিবার রাতে সংবাদকর্মী রফিক মাহামুদের উপর হামলাকারী ইয়াবা কারবারী গয়ালমারা এলাকার মৃত রুস্তম আলী ছেলে, মিজানুর রহমান (৩০), তার ছোট ভাই আতিকুর রহমান (২৮), তৌহিদুল ইসলাম (২২) মোঃ ইসমাইল (১৮) ও তাদের নিকট্মীয় তৈয়বা বেগম (৩০) আর রাজিয়া বেগম(৩০)। এরা সবাই মিয়ানমারের এক কালের শীর্ষ ইয়াবা কারবারী সিরাজুল হক প্রকাশ চিক্কুইন্যার হাত ধরে ইয়াবা ব্যবসা শুরু করেছিল। বর্তমানে রাখাইন যুবকের মাধ্যমে এরা আঞ্জুমানপাড়া এবং নলবনিয়া সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে ইয়াবা চালান নিয়ে এসে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার করে থাকে।

উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল মনসুর জানান, ইয়াবা ও মাদক কারবারীদের ব্যাপারে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে খোঁজ খবর নেওয়ার হচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে চিহ্নিত ইয়াবা কারবারীদের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করা হবে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: ইয়াবা, উখিয়া, কক্সবাজার
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন