ফাইনালের লক্ষ্যে আজ অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার লড়াই

fec-image

বিশ্বকাপ ক্রিকেটের দ্বিতীয় সেমিফাইনাল আজ। বিশ্ব ক্রিকেটে সফল দলের তালিকায় ওপরের দিকে অস্ট্রেলিয়া। তিন সংস্করণেই তাদের সাফল্যের ঝুলি বেশ ভারী। বিশেষ করে আইসিসি টুর্নামেন্টে সবসময়ই ধারাবাহিক পাঁচবারের ওয়ানডে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নরা তারা। সর্বাধিকবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি বিশ্বকাপ শিরোপার অপেক্ষায় থাকা দক্ষিণ আফ্রিকা।

আজ বৃহস্পতিবার কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে ছরতি ওয়ানডে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে দক্ষিণ আফ্রিকা। বিশ্বকাপে অতীত ইতিহাস অস্ট্রেলিয়াকে এগিয়ে রাখলেও দক্ষিণ আফ্রিকার এবারের আসরের দাপুটে পারফরম্যান্স সব হিসাব-নিকাশ পাল্টে দিতে পারে। বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে ম্যাচটি। দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার করবে গাজী টিভি ও টি স্পোর্টস।

দুর্ভাগ্য দক্ষিণ আফ্রিকার। দারুণ এক দল নিয়ে প্রতিবারই বিশ্বকাপে হাজির হয়। সম্ভাবনা থাকে শিরোপা জয়ের। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত সেই শিরোপা আর ছুঁয়ে দেখা হয় না।

দক্ষিণ আফ্রিকা অবশ্য তাদের অধিনায়ক টেম্বা বাভুমাকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে। এমনিতেই ইনজুরি আক্রান্ত তিনি। তার ওপর বিশ্বকাপে সময়টা ভালো যাচ্ছে না তার। বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের ৯ ম্যাচের সাতটিতে খেলেছেন তিনি। অথচ একবারও হাফ সেঞ্চুরির দেখা পাননি, এমনকি কাছাকাছিও যেতে পারেননি।

সাত ইনিংসে বাভুমার সর্বোচ্চ রান ৩৫। অথচ বিশ্বকাপের আগে ৯ ইনিংসের তিনটিতেই করেছিলেন সেঞ্চুরি। একটাতে অপরাজিত ৯০। অন্য এক ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি পার হয়েছিলেন। আর এক ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরির কাছাকাছি পৌঁছেছিলেন।

গত ১০ নভেম্বর আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলার সময় ইনজুরিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন বাভুমা। এখনো ইনজুরিমুক্ত হননি প্রোটিয়া অধিনায়ক। ফলে সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তার খেলা নিয়ে শঙ্কা জাগলেও এখন সেখানে একটু আশার আলো দেখতে পাচ্ছে দলটি। শেষ পর্যন্ত তিনি দলে না থাকলে এইডেন মার্করাম দলকে নেতৃত্ব দেবেন। সে ক্ষেত্রে রেজা হেনড্রিকস দলে সুযোগ পাবেন।

পরিবর্তন আসতে পারে অস্ট্রেলিয়া দলেও। বাংলাদেশের বিপক্ষে গ্রুপের শেষ ম্যাচে মার্নাস লাবুশেন ও মার্কাস স্টয়নিস দলে ছিলেন। কিন্তু এ ম্যাচে দুইজনের একজনকে বাইরে থাকতে হবে। বাংলাদেশের বিপক্ষে তাদের দুইজনকে কাউকে ব্যাটিংয়ে নামতে হয়নি।

অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপেই সাতবার মুখোমুখি হয়েছে। ফলাফলের বিচারে কেউ কাউকে পেছনে ফেলতে পারেনি। উভয় দলই তিনটি করে ম্যাচ জিতেছে। একটি ম্যাচ টাই হয়েছে।

ফলাফলের বিচারে উভয় দলের অবস্থান সমান হলেও সাফল্যের বিচারে অস্ট্রেলিয়া অনেক অনেক এগিয়ে। কেননা অস্ট্রেলিয়ার তিন জয়ের দুটোই এসেছে নক আউট পর্বে। ১৯৯৯ ও ২০০৭ সালে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে প্রোটিয়াদের হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিল অস্ট্রেলিয়া। সেই দুই আসরে শিরোপা জয় করে তারা।

বিশ্বকাপসহ ওয়ানডে ক্রিকেটে দল দুটো ১০৫ বার মুখোমুখি হয়েছে। এ লড়াইয়ে অবশ্য প্রোটিয়ারা একটু এগিয়ে। তারা ৫৫ ম্যাচে জয় পেয়েছে, অজিদের জয়ের সংখ্যা ৫০। সাম্প্রতিক সময়ে তো প্রোটিয়াদের সামনে পাত্তাই পাচ্ছে না অস্ট্রেলিয়া। সর্বশেষ ১৮ ম্যাচের ১৫টি জয় দক্ষিণ আফ্রিকা। সর্বশেষ চার ম্যাচেই জয় টেম্বা বাভুমাদের।

তবে এটা ওয়ানডে ক্রিকেট। তার ওপর আবার বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল। যেখানে অস্ট্রেলিয়ার আধিপত্য রয়েছে। তবে সবকিছুর ওপর নির্ধারিত দিন। ওয়ানডে ক্রিকেটে নির্ধারিত দিনে যে দল ভালো করবে সাফল্য তারই কথা বলবে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন