বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতবার্ষিকীতে রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের মিলাদ


জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শোক র্যলি, বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুস্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল করেছে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ।
দিবসটি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) সকালে সদর উপজেলা পরিষদ হতে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল পর্যন্ত শোক র্যালি শেষে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এরপর রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সভাকক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা’র সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য স্মৃতি বিকাশ ত্রিপুরা, পরিষদ সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়া, পরিষদের নির্বাহী প্রকৌশলী ক্য হলা খই, সিভিল সার্জন ডা. শহীদ তালুকদার, জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. বরুন কুমার দত্ত, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক পবন কুমার চাকমা, মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইয়াছিন, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক বেগম সাহান ওয়াজ বক্তব্য রাখেন। এ সময় পরিষদের হস্থান্তরিত বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন পরিষদের জনসংযোগ কর্মকর্তা অরুনেন্দু ত্রিপুরা।
আলোচনা সভায় রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল একটি স্বাধীন দেশ গড়ার। স্বপ্ন ছিল একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের। স্বপ্ন ছিল এ দেশের খেটে খাওয়া মেহনতী মানুষের অর্থনৈতিক স্বাধীনতার। যার জন্য আমরা পেলাম একটি স্বাধীণ দেশ, ঘাতকরা সেই মহান ব্যাক্তিকে বেঁচে থাকতে দেয়নি। তিনি বলেন, দেশের ১৬ কোটি মানুষ যদি আজ বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার সাথে কাজ করতে পারি তাহলেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়া সম্ভব হবে। তাই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে এবং দেশকে এগিয়ে নিতে আমাদের সকলকে যার যার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে হবে।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু মৃত্যুবরণ করেননি বরং তিনি বেঁচে আছেন আমাদের মাঝে। তিনি জীবন দিয়ে দেশের প্রতি তার ভালবাসা প্রকাশ করে গেছেন। বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে দেশকে সামনে এগিয়ে নিতে সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে।
আলোচনা সভার শুরুতেই বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গবন্ধুর পরিবারের নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত ও কিছুক্ষণ নীরবতা পালন করা হয়। পরে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের বিভিন্ন ট্রেডে ১০ জন প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত প্রশিনার্থীদের মাঝে আত্নকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে ৩ লক্ষ টাকার চেক প্রদান করা হয়।