বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া বিজিপির ২৮৫ সদস্যকে হস্তান্তর আগামীকাল


মিয়ানমারের অভ্যন্তরে রাষ্ট্রীয় জান্তা বাহিনীর সঙ্গে জাতিগত বিদ্রোহীদের চলমান সংঘর্ষে জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণ করা মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) ২৮৫ জন সদস্যকে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজিবি জানায়, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) কক্সবাজারের ইনানী নৌ-বাহিনী জেটিঘাট দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া বিজিপি সদস্যদের মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এদিকে বুধবার (২৪ এপ্রিল) মিয়ানমারে বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরেছে ১৭৩ জন বাংলাদেশি নাগরিক। তারা যে জাহাজে বাংলাদেশে ফিরেছেন মিয়ানমার নৌ বাহিনীর সেই জাহাজেই বৃহস্পতিবার ফেরত যাবে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা ২৮৫ জন মিয়ানমার বিজিপি সদস্য।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টায় মিয়ানমারের ৫ কর্মকর্তাসহ ৭ জন প্রতিনিধি ১৭৩ বাংলাদেশিকে কক্সবাজার নুনিয়াছড়া ঘাঁটিতে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেছেন।
পরে প্রতিনিধি দলের কর্মকর্তারা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সদরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি সরকিরি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পৌঁছান দুপুর পৌনে ৩টায়। যেখানে রাখা হয়েছে ২৮৫ বিজিপি সদস্যকে। এসময় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বিজিপি সদস্যদের খোঁজখরব নেন।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও কক্সবাজার-৩ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসান মাহমুদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ১৭৩ জনকে বাংলাদেশিকে মিয়ানমার থেকে ফেরত আনা হয়েছে। দেশে ফিরতে পেরে তাদের পরিবারের লোকজন খুব খুশি। সরকার এভাবে জনকল্যাণে সবকিছু করে যাচ্ছে-আরো করবে।
অপরদিকে নাইক্ষ্যংছড়িস্থ ১১-বিজিবি অধিনায়ক, বান্দরবান জেলা প্রশাসক ও বিজিবি জনসংযোগ কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও এ বিষয়ে তারা কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
তবে বিজিবি ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা এ প্রতিবেদককে বলেন, এ বিষয় নিয়ে শুধু পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ই সাংবাদিকদের সাথে কথা বলবেন।
এদিকে সংবাদ লেখা পর্যন্ত ২৮৫ বিজিপি সদস্যকে ফেরত পাঠাতে ৮টা বড় আকারের বাস নাইক্ষংছড়ি ১১-বিজিবি ব্যাটালিয়ন এলাকায় পৌঁছেছে।
কারাভোগ শেষে দেশে ফেরত আসা ১৭৩ জন বাংলাদেশির মধ্যে রয়েছে নাইক্ষংছড়ির জাকের হোসেন। তিনি বলেন, ২ বছর আগে মানবপাচারকারীদের হাত ধরে মালয়েশিয়া যাচ্ছিল সে। পথিমধ্যে তাদেরকে মিয়ানমারের জঙ্গলে ফেলে রেখে দালালরা সরে পড়ে। পরে মিয়ানমার পুলিশ তাদেরকে সে দেশের জেলে পাঠিয়ে দেয়।