বাঘাইছড়িতে জমে উঠেছে পাহাড়ি পশুর কোরবানির হাট


রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে জমজমাট হয়ে উঠেছে দেশী পাহাড়ি পশুর বিশাল কোরবানির হাট। সীমান্তে বিজিবির কড়াকড়ি নিরাপত্তার কারণে ভারত থেকে অবৈধ পথে কোন গরু আসতে পারেনি হাটে। তাই দাস নিয়ে স্থানীয় খামারিয়া বেশ লাভবান হচ্ছেন।
উপজেলার প্রবেশ পথেই প্রায় দুই একর জায়গা জুড়ে এই হাট স্থাপন করেছে বাঘাইছড়ি । উপজেলা প্রশাসন। সীমান্তবর্তী সাজেক, দোসর, নিউলংকর, উদয়পুর, মাঝিপাড়া সহ দূর দূরান্ত থেকে ৭-৮ দিন হেঁটে এসব পশু আনা হচ্ছে এই হাটে। কোন ধরনের মোটাতাজাকরণ ওষুধ ছাড়াই পাহাড়ি বনে প্রাকৃতিক ভাবে বেড়ে উঠেছে এসব গবাদিপশু। আর তাই সহজেই ক্রেতাদের নজর কাড়ছে।
দেশি গরুর পাশাপাশি এবার বাজারে রয়েছে বাহামাসহ নানা প্রজাতির বিশাল দেহের বিদেশি ক্রস গরুও। মাঝারি সাইজের এক একটি গরু বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ হাজার এবং বড় সাইজের গরু বিক্রি হচ্ছে ১ লাখ থেকে দেড়লাখ টাকায়। এছাড়া বিদেশি গরুর দাম ৩-৪ লাখ টাকা হাকা হলেও ক্রেতাদের আগ্রহ কম।
বিভিন্ন সাইজের গরুর পাশাপাশি এই হাটে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির ছাগলও। একেকটি বড় আকারের খাসি বিক্রি হচ্ছে ২০- ৩০ হাজার টাকায়। চট্টগ্রামের বিভিন্ন ব্যাবসায়ীরাও বাজারে আসছে। সীমান্তে বিজিবির কড়াকড়ি নিরাপত্তার কারণে এবার অবৈধ পথে কোন ভারতীয় গরু না আশায় ভালো দাম পাওয়ায় স্থানীয় গবাদিপশু মালিকরাও খুশি।
বাজার ইজারাদার জুমান ও জিন্নাত তালুকদার বলেন এবার বাহির থেকে কোন গরু না আশায় গরুর দাম কিছুটা চড়া এবছর আনুমানিক ১০/১২ কোটি টাকার গরু কেনাবেচা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
জাল টাকা ও ছিনতাই রোধে নিয়মিত পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে বলে বলেন বাঘাইছড়ি থানার ওসি হুমায়ূন কবির।
উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর নজরদারি থাকায় খুব ভালো চলছে বাঘাইছড়ি উপজেলার বৃহৎ এই পশুর হাটের কার্য়ক্রম বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিরিন আক্তার।