বান্দরবানে ছেলেধরা সন্দেহে এক রোহিঙ্গা নারীকে গণপিটুনি
বান্দরবানে ছেলেধরা সন্দেহে এক রোহিঙ্গা নারীকে গণপিটুনি দিয়ে আটক করেছে এলাকাবাসি।
শুক্রবার(১৯ জুলাই ) ২টার দিকে বান্দরবান লেমুঝিরি এলাকায় স্থানীয় জনগণ ছেলে ধরা সন্দেহে রোহিঙ্গা রোকেয়া বেগম-১৮, স্বামীঃ হামিদুল্লাহ কে আটক করে মারধর করে আহত করে। সে উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা।
এই বিষয়ে প্রতেক্ষ্য সাক্ষী এলাকাবাসীরা জানায় বান্দরবানের বালাঘাটা ২নং ওয়ার্ড, বিগ্রেড এলাকার শুভ নামের ছেলেকে ধরা নিয়ে যাওয়ার সময় এই মেয়েটিকে হাতেনাতে ধরেছে, ছেলেটির চিৎকার শুনে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে মেয়েটি ধরা পরে। বর্তমানে তাকে পুলিশের হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে। তার অন্যান্য সহযোগীরা পালিয়ে গেছে তবে তারা বেশি দূরে পালিয়ে যেতে পারেনি বলে এলাকাবাসী আশা করছেন। তারা এই ব্যাপারে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে।
এলাকাবাসী আরও জানান, তারা এতদিন ধরে পুরো বাংলাদেশের মধ্যে এই ঘটনাটি মিথ্যা বলে জেনে আসছিল, কিন্তু আজ তারা নিজ এলাকার মধ্যে এরকম ঘটনা ঘটার মাধ্যমে তারা তাদের মনের সন্দেহ দূর করে ফেলেছে, তারা নিশ্চিত হয়েছেন এ ঘটনাটি সত্যি। এলাকাবাসী সকলের সম্মুখে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে মেয়েটি নিজ মুখে স্বীকার করেছে তারা পাঁচ জন মিলে বান্দরবানে এসেছিল। এলাকাবাসী ছুটে আসতে দেখে বাকি সদস্যরা তাকে ফেলে চলে যায় বলে আটককৃত মেয়েটি উপস্থিত সকল জনতার সম্মুকে এই কথা স্বীকার করে।
এই বিষয়ে বান্দরবান সদর থানার দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা প্রণবকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি জানান ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের চেষ্টা করছেন তারা। বর্তমানে মেয়েটিকে বান্দরবান সদর হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে মেয়েটির শারীরিক অবস্থা কিছুটা সুস্থ হলে ঘটনার সত্যতা যাচাই করে এর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।