বিদ্যুৎ ও নেটওয়ার্ক বিহীন দৌছড়ি ইউনিয়ন চরম দুর্ভোগে

fec-image

বান্দরবানের নাইক্ষংছড়ি উপজেলার দৌছড়ি ইউনিয়ন। ১৬৫ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ইউনিয়নের অবস্থান। পুরো ইউনিয়নটি মিয়ানমার সীমান্তঘেষা। রয়েছে পুরো ইউনিয়নে প্রাকৃতিক সম্পদ। পর্যটকদের জন্য দৃষ্টি নন্দিত একটি জায়গা। যেদিকে থাকাবেন শুধু উচু নিচু পাহাড় আর পাহাড়। পর্যটনের অপার সম্ভাবনাময় স্থান। রাস্তাঘাট কার্পেটিং ধারা উন্নয়ন হয়েছে। বর্তমানে ও উন্নয়নের কাজ চলমান রয়েছে। প্রচুর পরিমাণ লেবুসহ নানা জাতের ফল ফলাদি উৎপাদন হয়।

তবে ইউনিয়নের বর্তমানে সমস্যা রয়েছে বিদ্যুৎ ও নেটওয়ার্ক। এজন্যই উপজেলার ৫ ইউনিয়নের মধ্যে শিক্ষা দিক্ষা সাংস্কৃতিক দিক দিয়ে এই ইউনিয়ন রয়েছে অনেক পিছিয়ে।
বিদ্যুৎ ও নেটওয়ার্ক না থাকার কারণে ইউনিয়নের হাজারো মানুষের চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হয় । সরকারের দেওয়া ডিজিটাল বাংলাদেশর সুবিধা থেকে বাদ পড়ে গেল প্রায় ১৫ হাজার মানুষ।  সরজমিনেে ঘুরে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে এসব তথ্যচিত্র উঠে আসে।

দৌছড়ি ইউনিয়নের বাসিন্দা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মো. ইমরান জানান, পার্বত্য বান্দরবানের উন্নয়নের রুপকার পার্বত্যচট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বাবু বীর বাহাদুর এমপির আন্তরিকতায় এই ইউনিয়নের মধ্যে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে।  ইউনিয়নের প্রতি মন্ত্রীর সুদৃষ্টি রয়েছে। অচিরেই বিদ্যুৎ ও নেটওয়ার্ক সুবিধা আমরা পেয়ে যাব।

দৌছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. হাবিবউল্লাহ বলেন, পার্বত্যচট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বাবু বীর বাহাদুর এমপির আন্তরিক প্রচেষ্টায় ইতিমধ্যে ইউনিয়নের আনাচে কানাচে রাস্তাঘাট, ব্রীজ কালভার্ট, মসজিদ, মন্দির, বৌদ্ধ বিহার, স্কুল মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন উন্নয়নমুলক কাজ সমাপ্তি হয়েছে এবং চলমান রয়েছে। মন্ত্রী অতি শীঘ্রই বিদ্যুৎ ও নেটওয়ার্ক সুবিধা আমাদের জন্য ব্যবস্থা করে দিবেন ইনশাআল্লাহ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় উপজেলার সবচেয়ে দুর্গম ইউনিয়ন দৌছড়িতে প্রাকৃতিক সম্পদ ও ফলদ, বনজ বাগানে ভরপুর।

চাষাবাদের জন্যও রয়েছে প্রচুর পরিমাণ কৃষি জমি। বর্তমানে কৃষি জমি গুলো এক ফসলের আবাদ হয়। যদি বিদ্যুৎ সুবিধা পায় তাহলে সকল জমি দুই ফসলের আবাদসহ বিভিন্ন কলকারখানা স্থাপন করে স্থানীয় লোকজন অনেক লাভবান হবে। পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যবসায়ীরা এসে মালামাল রপ্তানির সম্ভাবনা লক্ষ্য করা যায়। স্থানীয় লোকজন বিদ্যুৎ ও নেটওয়ার্ক সুবিধার পেতে পার্বত্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন