বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন লংগদুর গুলশাখালী


দেশের জাতীয় গ্রিডের যুক্ত হয় কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ। সেখানে রাঙামাটির বিভিন্ন উপজেলার অধিকাংশ এলাকায় এখনো পৌঁছেনি বিদ্যুৎ। অন্যদিকে কোথাও কোথাও বিদ্যুৎ সংযোগ থাকলেও দিনের পর দিন কাটাতে হচ্ছে বিদ্যুৎ বিভ্রাটে।
তেমনি বিদ্যুতের খুঁটি ও সংযোগ থাকা সত্ত্বেও গত ছয় দিন ধরে পার্বত্য জেলা রাঙামাটির লংগদু উপজেলার ৩ নম্বর গুলশাখালী ইউনিয়নের আহসানপুর এলাকার সহস্র মানুষ বিদ্যুৎ বিছিন্ন হয়ে আছে। বিদ্যুৎ না থাকায় মানুষের স্বাভাবিক জনজীবন চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা থেকে শুরু করে মানুষের দৈনন্দিন কাজ-কর্মে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
স্থানীয়দের তথ্য মতে, চার বছর আগে উপজেলার আহসানপুরে বিদ্যুৎ সেবা প্রত্যাশীদের জন্য ১০০ কেবি ট্রান্সফরমার বসানো হয়েছিলো। তবে স্থানীয়ভাবে বিদ্যুৎ সেবা প্রত্যাশী বেড়ে যাওয়ায় লোড বেশি হওয়ার কারণে ট্রান্সফরমারটি বার বার নষ্ট হতো। বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ ট্রান্সফরমারটি কয়েকবার মেরামত করে আবারো নির্ধারিত জায়গায় প্রতিস্থাপন করে।
কিন্তু ৫ দিন আগে ট্রান্সফরমাটি আবারো নষ্ট হয়ে পড়লে ওই এলাকার মানুষ বিদ্যুৎ সেবা থেকে বঞ্চিত হয়ে পড়ে। সেবা প্রত্যাশীরা বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের কাছে বিষয়টি অবহিত করলে সরকারি এ প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে নিজেদের উদ্যোগে পরিবহন খরচ দিয়ে পুনরায় ১০০ কেবির একটি ট্রান্সফরমার পাশ্ববর্তী জেলা খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলা থেকে নিয়ে যেতে হবে। কারিগরি সহযোগিতা করবে বিদ্যুৎ লংগদু বিভাগ।
স্থানীয়দের দাবি, বিদ্যুৎ সেবা প্রত্যাশী সংখ্যা দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে ১০০ কেবির ট্রান্সফরমার প্রতিস্থাপন করলে প্রয়োজনীয় লোড নিতে না পেরে আবারও নষ্ট হবে। এলাকায় ২৫০ কেবির একটি ট্রান্সফরমার স্থাপনের দাবি তাদের। কিন্তু বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে উৎকোচ হিসেবে দেড় লাখ টাকা দিতে হবে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
লংগদু উপকেন্দ্র বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের উপ-সহকারী ইঞ্জিনিয়ার এরশাদ আলী বলেন, টাকা গ্রহণের বিষয়টি সত্য নয়। তবে আমরা ১০০ কেবির একটি ট্রান্সফরমার লাগানোর জন্য স্থানীয়দের নিজেদের খরচে নিয়ে গেলে আমরা স্থাপন করে দিবো।
তিনি আরও বলেন, স্থানীয়রা ২৫০ কেবির ট্রান্সফরমার চাচ্ছে। আমি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বলেছি, তারা ব্যবস্থা নিবেন।
খাগড়াছ