বেগম জিয়ার মামলার রায় আদালতের নয় সরকারের: মাহমুদুর রহমান
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:
বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে যে মামলার রায় দেয়া হয়েছে তা আদালতের নয় সরকারের বলে উল্লেখ করেছেন আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। তিনি সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) খাগড়াছড়ি জেলা শহরের কলাবাগান এলাকার মিল্লাত চত্বরে সাংবাদিকদের সাথে এ কথা বলেন।
এ সময় তিনি বলেন, বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের যে মামলা করা হয়েছে তাতে একটি টাকাও আত্মসাত হয়নি । যে লেনদেন দিয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে সে লেনদেনের সাথে বেগম জিয়ার কোন সম্পর্ক ছিলো না। তিনি আইনের ভাষায় পুরো লেনদেনে একজন আগন্তক মাত্র । দেশে আইনের শাসন নেই উল্লেখ করে বলেন যদি আইনের শাসন থাকতো তবে তার বিরুদ্ধে এ মামলায় সাজাতো দূরের কথা মামলাটি অনেক আগেই স্থগিত করা হতো। বাংলাদেশে বিচার বিভাগ পরাধীন এবং একটি দখলদার ভোটার বিহীন সরকার ক্ষমতায় রয়েছে এ কারণে এ ভুয়া মামলায় বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায় ভাবে সরকারের নির্দেশে সাজা দেয়া হয়েছে।
আন্দোলনের মাধ্যমে এ দখলদার সরকরের পতন করতে হবে এবং আগামীতে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে যে নির্বাচন হবে তাতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শক্তি বিপুল সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। আন্দোলনের মাধ্যমে এ সরকারকে উৎখাত করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করার আহ্বান জানান তিনি।
৩২ ধারা নিয়ে বলেন, এর আগে ৫৭ ধারা ছিলো সাংবাদিকদের শায়েস্তা করতে এখন আরও ভয়ঙ্কর ৩২ ধারা নিয়ে আসা হয়েছে। আগে সাংবাদিকদের যেটুকু লেখার স্বাধীনতা ছিলো সেটাও কেড়ে নেয়া হয়েছে এ ধারায়। এখন সাংবাদিকদের গুপ্তচর হিসেবে বিচার করা হবে ফলে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা বলে কিছুই থাকবে না বলে মনে করেন তিনি।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে খাগড়াছড়িতে আসেন মাহমুদুর রহমান। হাইকোর্টের আদেশ মোতাবেক খাগড়াছড়ি চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিনের বেলবন্ড জমা দেন মাহমুদুর রহমান। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিচারক জয়নাল আবেদিন তার বেলবন্ড গ্রহণ করেন।
চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি মাহমুদুর রহমান-কে ৮ সপ্তাহের অর্ন্তবর্তীকালীন জামিন দিয়ে নিম্ম আদালতে হাজির হয়ে বেলবন্ড জমা দেয়ার আদেশ দেন হাইকোর্ট।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ১২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধুর নাতনি টিউলিপ রেজওয়ান সিদ্দিক সম্পর্কে কটুক্তির অভিযোগ করে খাগড়াছড়ি জেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা বিশ্বজিত রায় দাশ, ১ কোটি টাকার মানহানি মামলা দায়ের করেন মাহমদুর রহমানের বিরুদ্ধে।