বয়সের গ্যাড়াকলে পানছড়ির যতীন্দ্র: পিতা-পুত্রের বয়সের পার্থক্য নয় বছর
পানছড়ি উপজেলার তালুকদার পাড়া গ্রামের যতীন্দ্র কর্মকারের হিসেব মতে তার জন্ম ১৯৪০ সালে। সে হিসেবে তার বর্তমান বয়স ৮০। জাতীয় পরিচয় পত্রে তার জন্ম তারিখ লিখা হয় ১৯৭৪। সেই হিসেবে বয়স ৪৬। তার বড় ছেলে রাজন কর্মকারের জাতীয় পরিচয় পত্রে জন্ম তারিখ ১৯৮৩। হিসেব মতে ছেলের বয়স ৩৭। গানিতিক হিসেবে বাপ-ছেলের বয়সের পার্থক্য মাত্র নয় বছর।
জানা যায় যতীন্দ্র কর্মকারের সহধর্মিনী মিনু কর্মকারের বয়স ৫৫। স্বামীর চেয়ে ১১ বছরের বড়। এই গানিতিক সমস্যা সমাধানের জন্য উপজেলা নির্বাচন অফিস আর ইউনিয়ন পরিষদে ঘুরছে বয়োবৃদ্ধ বাক প্রতিবন্ধী যতীন্দ্র কর্মকার। বয়সের গ্যাড়াকলে পড়ে এরি মাঝে বয়স্ক ভাতাও বাতিল হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাচন অফিসার রিকল চাকমা জানান, এ ব্যাপারে নির্বাচন অফিসের কোন হাত নেই। সরকারী অনেক নিয়ম-কানুন রয়েছে। আপাতত: জন্ম নিবন্ধন ঠিক করে নিয়ে এলেই আমরা সার্বিক সহযোগিতা দিব। এ ব্যাপারে নির্বাচন অফিস সব সময়ে আন্তরিক বলে তিনি জানালেন। ৩নং পানছড়ি ইউপি সচিব মো: নজরুল ইসলাম জানান, বর্তমানে জন্ম নিবন্ধন সংশোধনীতে অনেক ঝামেলা রয়েছে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে এলেই সরকারী বিধি মোতাবেক তা ঠিক করে দেয়া হবে।
উপজেলা সমাজ সেবা অফিসের ইউনিয়ন সমাজকর্মী হিরলতা চাকমা জানান, এনালগ পদ্ধতির সময়ে উনাকে বয়স্ক ভাতায় অর্ন্তভুক্তি করা হয়েছিল। বর্তমানে ডিজিটাল পদ্ধতিতে বয়সের কারণে অনলাইনে তাঁর তথ্যাদি গ্রহণ করছে না। তাই বয়স্ক ভাতা বাতিল হয়েছে। তবে উনার বয়স ৮০ হবে বলে নিশ্চিত করে দু:খ প্রকাশ করেন।
যতীন্দ্র কর্মকার ও তার পরিবারের সদস্যদের দাবি বয়োবৃদ্ধ বাক প্রতিবন্ধী হয়েও তিনি বয়সের গ্যাড়াকলে পড়ে সরকারি কোন সুবিধা ভোগ করতে পারছে না। সহজভাবে জন্মনিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়ার ব্যাপারে প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা চেয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবার।