মাটিরাঙ্গায় খাদ্য সহায়তা নিয়ে কর্মহীন মানুষের বাড়ি বাড়ি আ’লীগ

চীন থেকে শুরু হয়ে করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বব্যাপী। রূপ নিয়েছে মহামারীতে। আর এ মহামারীতে বিপাকে পড়েছে অসহায়-দিনমজুর মানুষ। এসব কর্মহীন অসহায়-দিনমজুর মানুষের প্রতি মানবিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে সরকারি দল আওয়ামী লীগ। সরকারের নির্দেশে খাদ্য সহায়তা নিয়ে মাটিরাঙ্গা থেকে তানাক্কাপাড়ায় কর্মহীন মানুষের বাড়ি বাড়ি ছুটছে মাটিরাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।

খাদ্য সহায়তার অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) দিনভর মাটিরাঙ্গার বিভিন্ন স্থানে খেটে খাওয়া শ্রমজীবী, হতদরিদ্র ও নিম্নআয়ের কর্মহীন মানুষদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। মাটিরাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে এবং মাটিরাঙ্গা বাজার ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় এসব খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।

দিনের শুরুতেই মাটিরাঙ্গার খেদাছড়ায় খাদ্য বিতরণ কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুবাস চাকমা। এসময় মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম, মাটিরাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. তাজুল ইসলাম, তবলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাদের, তাইন্দং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আব্দুল লতিফ, গুমতি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মনির হোসেন, গুমতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ফারুক হোসেন লিটন ও মাটিরাঙ্গা উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো. বাবুল আহম্মেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সাম্প্রতিক সারা বিশ্ব জুড়ে মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে পুরো বিশ্ব স্তব্ধ হয়ে পড়েছে মন্তব্য করে মাটিরাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুবাস চাকমা বলেন, এটি একটি বৈশ্বিক সমস্যা। বাংলাদেশও করোনার সংক্রমণ থেকে বাঁচতে বর্তমানে পুরো দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এ অবস্থায় সাধারন মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। মাটিরাঙ্গা বাজার ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় মাটিরাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন সে সকল কর্মহীন মানুষের বাড়িতে বাড়িতে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিচ্ছে। আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে দলীয় নেতাকর্মীদের যার যার অবস্থান থেকে কর্মহীন মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, এ দুর্যোগের সময় সকলকে এক যোগে কাজ করতে হবে। নিজেদের সুরক্ষা নিজেদের নিশ্চিত করতে হবে। সুরক্ষাই করোনা প্রতিরোধের একমাত্র প্রতিষেধক।