মারমা তরুণীকে ধর্ষণের দায়ে সৎপিতাকে গণধোলাই, অতঃপর শ্রীঘরে
বান্দরবানে সৎমেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে পিতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর আগে নিজ গোত্র মারমা সম্প্রদায়ের লোকজন কর্তৃক ওই ধর্ষক গণপিটুনীতে আহত হয়। বুধবার জেলার রোয়াংছড়ি উপজেলার ওয়াগ্যাইপাড়া নামক এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
এদিকে ধর্ষক আপুইমং মারমা নিজ মেয়েকে ধর্ষণের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে বান্দরবান আদালতে। পরে আদালত আপুইমং মারকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
জানা গেছে, প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর গত ১২বছর আগে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে এক নারীকে বিয়ে করে আপুইমং মারমা। এই সংসারে তাদের পাচঁ সন্তান রয়েছে। পরিবারে সবার ছোট ছিলেন ধর্ষিত কিশোরী (১৫)। আপুইমং মারমা তার অন্যান্য ছেলে-মেয়েদের প্রায় সময় আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়ে সৎমেয়েকে নিয়মিত ধর্ষণ করতো। এতে গর্ভবতী হয়ে পড়ে কিশোরী। গত ২জুলাই (শুক্রবার) তার সন্তান প্রসব হলে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়। এতে ছেলেমেয়েসহ এলাকার লোকজন আপুইমং মারমাকে গণপিটুনি দিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আপুইমং মারমাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এই বিষয়ে রোয়াংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এএইচএম তৌহিদ কবির জানান, আপুইমং মারমা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নিজের দোষ স্বীকার করেছে। ঘটনার বিষয়ে ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে থানায় (০১/০৮-০৭-২০২১) মামলা দায়ের করেছে।