মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনীকে অর্থ সহায়তা বন্ধের আহ্বান জাতিসংঘের

fec-image

মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনীকে অর্থ সহায়তা না দিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার জাতিসংঘের একটি ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশন ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলের পর থেকেই গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে উল্লেখ করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর ওপর আর্থিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ ও তহবিল বন্ধের সুপারিশ করেছে।
তুরস্কের সংবাদ সংস্থা আনাদলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কার্যালয়ের মুখপাত্র জেরেমি লরেন্স এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন—‘আমাদের কার্যালয় জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের অনুরোধে মিয়ানমারে বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।’

জেরেমি লরেন্স আরও বলেন, ‘এই প্রতিবেদন এই বিষয়টি আবারও উল্লেখ করেছে যে, তাৎমাদাও (মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এই নামে পরিচিত) এবং এর অর্থনৈতিক স্বার্থগুলোর ওর নির্দিষ্ট অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপসহ অস্ত্র আমদানির ওপরও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া উচিত।’ প্রতিবেদনে মিয়ানমারে যেসব মানবতা বিরোধী কর্মকাণ্ড হয় তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এক হয়ে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়।

প্রতিবেদনে মিয়ানমার ইস্যুতে আন্তর্জাতিক নীরবতার বিষয়টিকেও সামনে আনা হয়। এই বিষয়ে মিয়ানমারে নিযুক্ত জাতিসংঘের মানবাধিকার রক্ষা বিষয়ক বিশেষ প্রতিবেদক মেরি লেলৌর বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিষ্ক্রিয়তার মুখেও সামরিক জান্তা কর্তৃক প্রতিনিয়ত নির্যাতিত হতে থাকার পরও মানবাধিকার রক্ষাকারীরা দেশটিতে নিপীড়িতদের সমর্থনে অটল।’

মেরি লেলৌর আরও বলেন, ‘আমাদের মিয়ানমারে যারা মানবাধিকার রক্ষায় কাজ করছেন তাদের পরিপূর্ণ সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। সামরিক জান্তার ওপর যথাসময়ে উপযুক্ত চাপ বাড়াতে হবে এবং যারা দেশ ছেড়েছে কিংবা ছাড়তে চায় তাদের সরাসরি আর্থিক সহযোগিতাসহ সব ধরনের সহায়তা দিতে হবে।’

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুর দিকে ক্ষমতা দখল করার পর বিগত দেড় বছরেরও বেশি সময়ে দেশটিতে অন্তত ২ হাজারেরও বেশি মানুষ জান্তাবাহিনীর হাতে প্রাণ হারিয়েছেন। এ ছাড়া গ্রেপ্তার হয়েছেন অন্তত ১৩ হাজার। যাদের মধ্যে অন্তত ১০ হাজার জনকে এখনো বন্দী করে রেখেছে জান্তা সরকার।

সূত্র : আনাদলু এজেন্সি

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: অর্থ সহায়তা, জাতিসংঘ, মিয়ানমার
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন