মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষীদের গুলিতে আহত বাংলাদেশী ৬ জেলের মধ্যে ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক
কক্সবাজার প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন সাগর উপকূলে মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর গুলিতে আহত বাংলাদেশী ৬ জেলের মধ্যে ২জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদেরকে মঙ্গলবার গভীর রাতেই কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে সেন্টমার্টিনের ছেড়া দ্বীপের পূর্ব পাশে ফিশিং বোট নিয়ে সাগরে মাছ ধরছিল বাংলাদেশী জেলেরা। এসময় মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বাংলাদেশী জেলেদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে। এতে অন্তত ৬জন জেলে গুলিবিদ্ধ হয়। এরপর গুলিবিদ্ধ জেলেদের ধরে মিয়ানমারে নিয়ে যায় সে দেশের নৌ বাহিনীর সদস্যরা। সেখানে তাদের উপর চালানো হয় নির্যাতন। আর বাংলাদেশে ফিরে মিয়ানমারের প্রসঙ্গ উল্লেখ না করে বরং জেলেদেরকে ডাকাত দলের কবলে পড়ার কথা বলতে শিখিয়ে দেয় মিয়ানমারের বাহিনী।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের কতর্ব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার রফিকুল ইসলাম জানান, গভীর রাতে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ ৬ জেলেকে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের প্রত্যেকের শরীরে গুলির আঘাত রয়েছে। এদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা আশংকাজনক। তাদের নিবিড় পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে।
সেন্টমার্টিন পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ডালিম বড়ুয়া জানান, বিকালে গুলিবিদ্ধ ৬ জেলেকে কোস্টগার্ডের সদস্যরা উদ্ধার করে সেন্টমার্টিন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। তাদের পা, হাত ও চোখের নিচে গুলির চিহ্ন রয়েছে। আহতরা হচ্ছে কক্সবাজারের নুনিয়ার ছড়ার উসমান গণি, মো. ইলিয়াছ, একই গ্রামের মো. রফিকুল ইসলাম, নুর আহমেদ, কক্সবাজার মহেশখালীর সাইফুল ইসলাম, নুর কায়েছ। তারা সকলেই কক্সবাজারের নুনিয়ারছড়ার বাসিন্দা মো. রহিম সওদাগরের মালিকাধীন এফবি. খালেদা-১ নামক একটি বোটে করে মাছ ধরছিল। বোটটিতে অন্তত ১৪ জন মাঝি-মাল্লা ছিল। এদিকে এ ঘটনার পর থেকে নাফ নদীসহ সেন্টমার্টিন সাগর উপকূলে জেলেদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।