রাজস্থলীতে বিনোদনের ভরসা ঝুলন্ত ব্রীজ ও শিশুপার্ক

fec-image

রাঙ্গামাটি জেলাধীন রাজস্থলী উপজেলার প্রায় ৩০-৩৫ হাজার লোকের বসবাস। ভোর ৬টা হতে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত উপজেলার কয়েকশ মানুষ থাকে কর্মব্যস্ত। এ সব মানুষের মধ্যে নিম্ন  ও মধ্যবিত্তদের বিভিন্ন দিবস উপলক্ষ্যে ছুটির দিনেও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর পর্যাপ্ত পরিমাণ বিনোদন কেন্দ্র নেই। জনগণের ভরসা চিত্রবিনোদনের উপজেলা বঙ্গবন্ধুর মোড়াল, শিশু পার্ক, ঝুলন্ত সেতু।

ছুটির দিনগুলোতে জনসাধারণ স্ব-পরিবারে বা বন্ধুবান্ধব নিয়ে ছুটে যায় এসব স্থানে। রাজস্থলী উপজেলার শিশু পার্কে ছুটির দিন ছাড়াও প্রতিদিন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজন ছুটে আসে। বিশেষ করে মনোরম পরিবেশ সবুজ প্রকৃতির নয়ানাভিরাম ও দুই পাহাড়ের মাঝামাঝি কাপ্তাই নদীর উপর অবস্থিত বিশ্বের প্রথম ঝুলন্ত সেতুটি দেখার জন্য ছুটে আসে মানুষ।

স্থানীয় এক ব্যবসায়ী জানান, আমি দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে এ রাজস্থলীতে থাকি। কিন্তু আমাদের ছেলে মেয়েদের জন্য নেই কোন শিশু পার্ক। ঘুরে বেড়ানোর জন্য নেই কোন উপযুক্ত স্থান। উপজেলা সংলগ্ন কোন স্টেডিয়াম না থাকায় সারা বছর ধরে বিভিন্ন খেলাধুলা থেকেজ বঞ্চিত এ এলাকাবাসী। এ উপজেলার স্থায়ী বাসিন্দা হয়েও কোন পার্ক বা বিনোদন কেন্দ্র না থাকায় বঞ্চিত হচ্ছে বিনোদন থেকে। সকাল-বিকাল ঘুরে বেড়াতে বা আড্ডা দিতে নেই কোন খোলা প্রান্তর বসার বেঞ্চ। সকাল-বিকাল হাটার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ কোন জায়গা নেই। তাই আমরা বাধ্য হয়ে পাশ্ববর্তী কাপ্তাই উপজেলার ঝুম রেস্তোরা ও চন্দ্রঘোনা শেখ রাসেল পার্কএ নিয়ে যাই।

প্রাইমারী এক স্কুল শিক্ষক এ প্রতিবেদককে জানান, শিশুদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশের জন্য খেলার মাঠ, শিশু পার্ক ও শিশুতোষ বিনোদন কেন্দ্র নেই। এ বিষয়ে রাজস্থলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ ছাদেখ বলেন, আমি আসার পর দেখি একটি জরাজীর্ণ ও পরিত্যক্ত অবস্থায় শিশু পার্ক রয়েছে। উপজেলা পরিষদ হতে সামান্য পরিমাণ বরাদ্দ দিয়ে বিভিন্ন জীবজন্তুর প্রতিকৃতি স্থাপন দর্শনীয় স্থান হিসেবে করে দিয়েছি। সামনে আরো কিছু করার আশা করছি। ফলে এ রাজস্থলী উপজেলায় চিত্রবিনোদনের জন্য সরকারের সু-দৃষ্টি কামনা করছেন এলাকাবাসী।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: ঝুলন্ত ব্রীজ, রাঙ্গামাটি, রাজস্থলী
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন