রাজস্থলীর ঘিলাছড়িতে কাপ্তাই নদীর তীরে ভাঙন
কয়েকদিনের টানা বর্ষণে রাঙামাটি জেলার রাজস্থলী উপজেলার কাপ্তাই নদীতে বেড়েছে তীব্র স্রোত। এতে উপজেলার ১ নং ঘিলাছড়ি ইউনিয়নে হেডম্যান পাড়ার পাশে দেখা দিয়েছে ভাঙন।
ইতোমধ্যে বেশ কিছু ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি নদী গর্ভে হারিয়ে গেছে। ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে সহস্রাধিক মানুষের ঘরবাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও জমি। এতে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন এসব গ্রামের মানুষ। ভাঙন প্রতিরোধে দ্রুত ব্লক স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন তারা।
সরেজমিনে দেখা যায়, চলমান বৃষ্টিতে কাপ্তাই নদীতে তীব্র স্রোতে ঘিলাছড়ি ইউনিয়নের হেডম্যান পাড়া, নাপ্পিঘাটা, চৌধুরী বাড়ীর সংলগ্নে বিভিন্ন স্পটে তীব্র নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। এই বর্ষাতেই এসব এলাকার বেশ কিছু ঘরবাড়ি-ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। অন্য কোথাও যাওয়ার উপায় না পেয়ে অনেকেই ঝুঁকি নিয়ে নদী পাড়ের বসতঘরেই থাকছেন।
ঘিলাছড়ি ইউনিয়নের হেডম্যান পাড়া গ্রামের বাসিন্দা রুপন বড়ুয়া বলেন, বেশ কয়েকবছর ধরেই ভাঙনে ফসলি জমি হারিয়েছি। গেল বর্ষায় বসতঘরও ভাঙনের কবলে পড়ে। এতে বসতভিটার সামনে কয়েকটি কক্ষ ভেঙে যায়। অন্যত্র যাওয়ার জায়গা না থাকায় পিছনের কক্ষগুলোতেই আমরা থাকছি। এই বর্ষায় তাও ভেঙে যাচ্ছে।
ঘিলাছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান রবার্ট ত্রিপুরা জানান, ভৌগলিক কারণে ঘিলাছড়ি ইউনিয়নের দুই দিকেই কাপ্তাই নদী। বর্ষা এলেই নদীর তীব্র স্রোতে ভাঙন দেখা দেয় । ইতিমধ্যেই বেশ কিছু এলাকায় ভাঙন প্রতিরোধক ব্লক স্থাপন হয়েছে।
আশাকরি দ্রুততম সময়ে ভাঙন প্রতিরোধ ব্লক স্থাপন করে সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘব হবে।
রাজস্থলী উপজেলা চেয়ারম্যান উবাচ মারমা বলেন, ‘একসময় বর্ষা এলেই রাজস্থলীর কাপ্তাই নদীর দুই পাড়ের বাসিন্দাদের মাঝে নদী ভাঙনের হাহাকার দেখা যেতো। পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে রাজস্থলী তাইতং পাড়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় রক্ষার্থে নদীর পাড়ে ব্লক স্থাপন হয়েছে। এরমধ্যে যেসব এলাকায় এখনো ব্লক স্থাপন বাকি রয়েছে তারমধ্যে ঘিলাছড়ি হেডম্যান পাড়া গ্রাম থেকে বাজারের নিচ পর্যন্ত এলাকা অন্যতম। ভাঙন প্রতিরোধে এই গ্রামেও প্রজেক্ট নেওয়ার জন্য প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। আশাকরি ভবিষ্যতে নদী ভাঙ্গন রোধ করা সম্ভব হবে।
রাজস্থলী উপজেলার ঘিলাছড়ি ইউনিয়নে নদীর ভাঙ্গনে বিলিন হচ্ছে গ্রাম ও হাটবাজার