রাবিপ্রবির উপাচার্য হলেন চবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. সেলিনা আক্তার

fec-image

রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবিপ্রবি) উপাচার্য পদে নিয়োগ পেলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. সেলিনা আক্তার।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাপস্থাপনা বিভাগের এই শিক্ষককে চার বছরের জন্য নিয়োগ দিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উপসচিব মোছাম্মদ রোখসানা বেগম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, “মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০০১ এর ১০(১) ধারা অনুযায়ী তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।”

উপাচার্য বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতন-ভাতায় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সার্বক্ষণিক ক্যাম্পাসে অবস্থান করার শর্তে নিয়োগ পেয়েছেন বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রো-ভিসি) অধ্যাপক কাঞ্চন চাকমা সোমবার বলেন, “নতুন উপাচার্য ম্যাডামের সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি শিগগিরই কাজে যোগদান করবেন।”

সেলিনা আখতার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।

২০১৫ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ পেয়ে দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাপবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক প্রদানেন্দু বিকাশ চাকমা।

তার মেয়াদ শেষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল ফারুককে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হলেও তিনি যোগদান করেননি।

গত ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রথম প্রো-ভিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমেস্ট্রি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক কাঞ্চন চাকমা। গত কয়েক মাস তিনিই ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

২০০১ সালে রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাসের পর এর রুটিন কাজ শুরু হলেও আনুষ্ঠানিকভাবে এর শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হয় ২০১৫ সালে, শহরের শাহ উচ্চ বিদ্যালয়ে দুটি শ্রেণিকক্ষে। ২০১৯ সালে রাঙামাটি-কাপ্তাই সড়কের পাশে ঝগড়াবিল এলাকায় নিজস্ব ক্যাম্পাসে ঠিকানা হয় বিশ্ববিদ্যালয়টির। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টির পাঁচটি বিভাগে ৬৮৩ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। ৬৩.৭৩ একর জমিতে বিশ্ববিদ্যালয়টির অবকাঠামো নির্মাণের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

 

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন