রামুতে দুই সাংবাদিকের বসতবাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ
কক্সবাজারের রামুতে সরকার পতনের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দূষ্কৃতিকারীরা দুইজন সাংবাদিকের বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে লুটপাট, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে।
সোমবার (৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের জুমছড়ি এলাকার বাসিন্দা দৈনিক সমকালের কক্সবাজার প্রতিনিধি ইব্রাহিম খলিল মামুন এবং একই ইউনিনের বৈলতলী এলাকার বাসিন্দা দৈনিক গণমুক্তি ও মর্ণিং গ্লোরী পত্রিকার কক্সবাজার প্রতিনিধি হুমায়ন কবিরের বাড়িতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা এ দুটি বাড়িতে থাকা নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও কাপড়চোপড়সহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লুট করে নিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকাল সাড়ে পাঁচটায় মোটর সাইকেল বহরযোগে একদল দূষ্কৃতিকারী সাংবাদিক হুমায়ন কবিরের বাড়িতে হামলা শুরু করে। হামলাকারীরা হুমায়ন কবিরের ব্যবহৃত মোটর সাইকেল, বাড়ির সকল আসবাবপত্র ভাঙচুর ও লুটপাট করে।
হুমায়ন কবির রামু প্রেস ক্লাবের সদস্য। তিনি জানান, হামলাকারীদের বেপরোয়াভাবে আসতে তিনি সপরিবারে পালিয়ে প্রাণে রক্ষা পান। প্রায় ২ ঘণ্টা যাবত দূষ্কৃতিকারীরা তার বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। হামলার বিষয়টি তিনি পুলিশ ও সেনা বাহিনীর দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের অবহিত করেছেন। এ ঘটনার পর থেকে কোন প্রকার আইনী সহায়তা না পেয়ে তিনি বসত বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন এবং পরিজন নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
এ ঘটনার পর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে জুমছড়ি এলাকায় সাংবাদিক ইব্রাহিম খলিল মামুনের বাড়িতেও সন্ত্রাসী কায়দায় হামলার ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চিহ্নিত ডাকাত মুবিনুর রহমান রুবেলের নেতৃত্বে দিদার, মিজান, জয়নালসহ ১৫ থেকে ২০ জন দূষ্কৃতিকারী ১০টি মোটরসাইকেলে করে গিয়ে ঘরের দরজা ভেঙে লুটপাট চালায় এবং অগ্নিসংযোগ করে। এসময় পার্শ্ববর্তী লোকজন এগিয়ে আসলে দূষ্কৃতিকারীরা পালিয়ে রক্ষা পান।
সাংবাদিক ইব্রাহিম খলিল মামুন বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর সারাদেশে সাধারণ মানুষের উৎসবের সময় হঠাৎ অতর্কিতভাবে ডাকাতরা আমার বাড়িতে হামলা করে লুটপাট চালায়। তবে এসময় বাড়িতে কেউ ছিলেন না। এ বিষয়ে রামু থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে।
এদিকে রামুর দুই সাংবাদিকের বসত বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন কক্সবাজার ও রামুর কর্মরত সাংবাদিকরা।