রামুতে ভোকেশনাল টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের বার্ষিক অনুষ্ঠান সম্পন্ন
রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাহমিদা মুস্তফা বলেছেন- জন্ম যেভাবেই হোক, কর্মদক্ষতা দিয়েই জীবনকে জয়ী করতে হবে। হতাশা মানুষকে আরো বেশি পিছিয়ে দেয়। তাই স্বপ্ন দেখতে হবে। স্বপ্ন বাস্তবায়নও করতে হবে। কারণ মানুষ স্বপ্নের মতোই বড়। সবার জীবনে দুঃখ-কষ্ট থাকে। এসবকে জীবনের শক্তি এবং পরীক্ষা হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার মাধ্যমে সফলতা আসে। মা-বাবা জীবনে হাঁটা-চলা শিখায়। কিন্তু জীবনে নিজের কর্মদক্ষতা দিয়েই চলতে হবে। অটুট মনোবল নিয়ে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে জয়ী হতে হবে। এরচেয়ে সফলতা আর কিছুই হতে পারেনা।
রামুতে টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট কক্সবাজারের নবীনবরণ, বিদায়ী ও কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা, বার্ষিক ভোজ, দোয়া, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) সকাল ১০টায় প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ক্যাম্পাসে আয়োজিত বর্ণিল অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় নিয়ন্ত্রণাধীন এবং বস্ত্র অধিদপ্তর পরিচালিত রামু টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউটের সুপারিনটেনডেন্ট বিশ্বজিৎ দাস।
প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক আবু ইউসুফ মো. হানিফের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন রামু উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নুর মোহাম্মদ ও রামু প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সোয়েব সাঈদ। অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক মোস্তফা সরওয়ার, ন্যাওচিং মং, নওরীন নুসরাত তারিন উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে এসএসসি পরীক্ষায় কৃতিত্ব অর্জনকারী এবং নবীন ও বিদায়ী ছাত্র-ছাত্রীদের ক্রেস্ট প্রদান করে সংবর্ধিত করা হয়।
পরে প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী ও অতিথি শিল্পীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। এরআগে সকালে জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়। অনুষ্ঠানে টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউটের শিক্ষকবৃন্দ এবং ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী, ২০২৩ সালে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়া বিদায়ী শিক্ষার্থী, প্রতিষ্ঠানের সকল ছাত্রছাত্রী উপস্থিত ছিলেন। পুরো আয়োজনে নিজেদের মধ্যে ভাব বিনিময় আর নেচে-গেয়ে উল্লাসে মেতে ওঠেন শিক্ষার্থীরা।